আগামী জুনের মধ্যে শতভাগ এসএমএস বা নোটিফিকেশন বাংলায় পাঠাতে দেশের সব মোবাইল অপারেটরদের নির্দেশ দিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিটিআরসি মিলনায়তনে গ্রাহকদের কাছে বাংলায় নোটিফিকেশন বা এসএমএস পাঠানোর কার্যক্রম উদ্বোধনকালে তিনি এই নির্দেশ দেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দেশের সকল মোবাইল অপারেটর এখন থেকে ইংরেজির পরিবর্তে গ্রাহকদের কাছে মাতৃভাষা বাংলায় এসএমএস এবং নোটিফিকেশন পাঠাবে। ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বিটিআরসির উদ্যোগে এই কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. খলিলুর রহমান, বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র, টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাহাব উদ্দিন, গ্রামীণ ফোনের সিইও ইয়াসির আজমান, রবির ভারপ্রাপ্ত সিইও রিয়াজ রশিদ এবং বাংলা লিংকের ভারপ্রাপ্ত সিইও তৈমুর রহমান। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিটিআরসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ।
অনুষ্ঠানে মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলায় এসএমএস বা নোটিফিকেশন রূপান্তরের পেছনের কাজগুলো চ্যালেঞ্জিং ছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও সেটি করা হয়েছে। এই ঘটনাটি মাতৃভাষা, মা-মাটি ও মাতৃভূমির জন্য একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। প্রযুক্তিগত দিক থেকে কোনো ভাষা থেকে বাংলা ভাষা পিছিয়ে নেই। এমন কোনো ডিভাইস বা যন্ত্র নেই যেখানে বাংলা লেখা যাবে না। ১৯৮৭ সালে ইউনিকোড কনসোর্টিয়াম হওয়ার সময়ও বাংলার প্রকৃত রূপ ছিল না। অনেক বর্ণমালা বাদ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমি নিজে সেই বর্ণগুলো যুক্ত করাই। এরপর ইন্টারনেটে ব্যবহার করার যেসব সংকট ছিল সেসবও দূর করা হয়েছে। বাংলার এনকোডিং ও কীবোর্ডও এখন প্রমিত। তাই প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষা ব্যবহার করা কঠিন এই অজুহাত দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
মন্ত্রী বলেন, একুশ আমাদের অহংকার। বাংলা ভাষা আন্দোলনের পথ বেয়েই বাঙালির জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। আমরা স্বাধীনতা পেলে আমাদের দাপ্তরিক ভাষা হবে বাংলা– বঙ্গবন্ধু তাই করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় আজকের এই কাজটি করতে পারার মতো পরম আনন্দ আর হতে পারে না। আজকের দিনটি ঐতিহাসিক, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এই অসাধারণ কাজটি করতে পারা আমার জীবনের বড় অর্জন।
খুলনা গেজেট/ এস আই