পাইকগাছা পৌর সদরের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিত্যক্ত ভবনটি এখন পরিণত হয়েছে ডাষ্টবিনে। পাশের আবাসিক এলাকাসহ দোকানিদের নিত্য ফেলা উচ্ছিষ্ট খাবার ও পঁচা-আবর্জনায় ঠাসা ভবনটি যেন রোগ জীবাণুর অভয়ারণ্য।
সারাক্ষণ মশা-মাছির আনাগোনা ও বেওয়ারিশ কুকুর-বিড়ালের পঁচা খাবার নিয়ে টানাটানিতে সেখানকার নোংরা ও পঁচা দুর্গন্ধে আশপাশের পরিবেশ ভারি করে তুলেছে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ আশপাশের এলাকায় রীতিমত স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। স্থানীয়দের দাবি ভবনটির অপসারণ কিংবা পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে সদয় হোক যথাযথ কর্তৃপক্ষ।
পুরনো স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাশে অভিজাত রেষ্টুরেন্ট, বাণিজ্য বিপনীসহ সদরের মিষ্টি পুকুরটি অবস্থিত। অনতিদূরে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসসহ রয়েছে আবাসিক-অনাবাসিক বিভিন্ন স্থাপনা। সদরের প্রধান সড়কের যানজট এড়াতে ৩ টি বাইপাসের সংযোগ এলাকাটিতে সকাল থেকে মধ্য রাত অবধি থাকে ব্যস্ত। তবে চিহ্নিত এলাকায় পৌঁছাতেই পথচারীদের নাকে-মুখে কাপড় ঠাঁসার বিষয়টি রীতিমত চোখে পড়ার মত। বিশেষ করে আশ-পাশের মার্কেট ও বাণিজ্য বিপনীর দোকানি ও ক্রেতা সাধারণ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন সেখানকার নির্গত দুর্গন্ধে।
সূত্র জানায়, স্বাস্থ্যকেন্দ্র এরিয়ায় দু’টি ভবনের একটি নতুন দ্বিতল ভবন ও অন্যটি পরিত্যক্ত। ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ায় কর্তৃপক্ষ বেশ আগেই ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছে। তবে ভবনটি অপসারণ কিংবা যথাযথ তদারকির অভাবে পাশের পৌরসভার ডাষ্টবিনের পাশাপাশি দীর্ঘ দিনে ভবনটি পরিণত হয়েছে ডাষ্টবিনে।
স্থানীয়রা মূল ডাষ্টবিন সাথে ভবনটিকেও ডাষ্টবিন হিসেবে ব্যবহার করছে। যার একটি নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হলেও নজর নেই ভবনটির দিকে। আর এতে করে পরিত্যক্ত ভবনের চারপাশ প্রস্তুত হয়েছে ময়লা-আবর্জনার স্তুপে। সেখানকার অবিরাম দূষিত বাতাস আর দূর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন ভূক্তভোগীরা।
পাশের মার্কেটের ব্যবসায়ী বাইজীদ জানান, পরিত্যক্ত ভবনকে ঘিরে উচ্ছিষ্ট খাবারসহ ময়লা-আবর্জনা ফেলার পাশাপাশি আশপাশের মানুষ ও পথচারীরা মূত্র ত্যাগ করে সেখানকার স্বাভাবিক পরিবেশকে আরও ভারি করে তুলছে। সব মিলিয়ে চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন সেখানকার ব্যবসায়ী ক্রেতাসাধারণ ও পথচারীরা।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নিতীশ চন্দ্র গোলদার জানান, পৌরসভার ডাষ্টবিনটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনে থেকে অপসারণে পৌর কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার তাগিদ দিলেও কোন কাজ হচ্ছে না। এ বিষয়ে ফের পৌর কর্তৃপক্ষকে জানাবেন বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে পাইকগাছা পৌর সভার মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর বলেন, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।