‘একুশে পদক-২০২২’ দেওয়া হবে রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি)। এ উপলক্ষে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভার্চুয়ালি যুক্ত থাকার কথা রয়েছে।
সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি তথ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়, আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘একুশে পদক-২০২২’ দেওয়া হবে। ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি অংশ নেবেন।
পদক পাচ্ছেন যারা
ভাষা আন্দোলন : মোস্তফা এম. এ. মতিন (মরণোত্তর) ও মির্জা তোফাজ্জল হোসেন (মুকুল) (মরণোত্তর)
শিল্পকলা : নৃত্যে জিনাত বরকতউল্লাহ, সংগীতে নজরুল ইসলাম বাবু (মরণোত্তর), ইকবাল আহমেদ ও মাহমুদুর রহমান বেণু, অভিনয়ে খালেদ মাহমুদ খান (মরণোত্তর), আফজাল হোসেন ও মাসুম আজিজ
মুক্তিযুদ্ধ : বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব অধ্যক্ষ মো. মতিউর রহমান, সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী (মরণোত্তর), কিউ. এ. বি. এম রহমান ও আমজাদ আলী খন্দকার
সাংবাদিকতা : এম এ মালেক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মো. আনোয়ার হোসেন
শিক্ষা : অধ্যাপক ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ
সমাজসেবা : এস. এম. আব্রাহাম লিংকন ও সংঘরাজ জ্ঞানশ্রী মহাথের
ভাষা ও সাহিত্য : কবি কামাল চৌধুরী ও ঝর্ণা দাশ পুরকায়স্থ
গবেষণা : ড. মো. আবদুস সাত্তার মন্ডল, ড. মো. এনামুল হক (দলগত) (দলনেতা), ড. সাহানাজ সুলতানা (দলগত) ও ড. জান্নাতুল ফেরদৌস (দলগত)
ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে চালু করা একুশে পদক সরকার প্রতি বছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দিয়ে থাকে। বাংলাদেশের বিশিষ্ট সাহিত্যিক, শিল্পী, শিক্ষাবিদ, ভাষাসৈনিক, ভাষাবিদ, গবেষক, সাংবাদিক, অর্থনীতিবিদ, দারিদ্র্য বিমোচনে অবদান রাখা ব্যক্তি, সামাজিক ব্যক্তিত্ব ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় পর্যায়ে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৭৬ সাল থেকে একুশে পদক দেওয়া হচ্ছে।
নীতিমালা অনুযায়ী, নির্বাচিত প্রত্যেককে এককালীন নগদ চার লাখ টাকাসহ ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।
খুলনা গেজেট/ এস আই