হাফ ভাড়া নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে ঢাকা কলেজের তিন আবাসিক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় ‘মিরপুর মেট্রো পরিবহন’র আটক করা ৯টি বাসের ৮টি ছেড়ে দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকা কলেজে নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স.ম.কাইয়ুম, ঢাকা কলেজ প্রশাসন, ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগ ও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের সমন্বিত আলোচনার পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অপর একটি বাস নিউমার্কেট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে বাস মালিকপক্ষের প্রতিনিধি, কলেজ প্রশাসন ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বৈঠকে উপস্থিত ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদের কোষাধ্যক্ষ ও উত্তর ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধায়ক ওবায়দুল করিম বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাসগুলো ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি থানা-পুলিশ দেখছে। এ ধরনের ঘটনা কখনোই কাম্য নয়। সবাইকে আরও সহনশীল আচরণ করতে হবে।
নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স.ম.কাইয়ুম বলেন, শিক্ষার্থীদের ভাষ্যমতে এটি শ্যামলীর ঘটনা। ওই ঘটনার জেরে নিউমার্কেটে ৯টি বাস আটক করা হয়েছিল। সন্ধ্যায় ঢাকা কলেজে প্রাথমিক সমঝোতা বৈঠকের পর আটটি বাস শিক্ষার্থীরা ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একটি বাস আমরা থানায় নিয়ে যাচ্ছি। মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার বলেন, সংশ্লিষ্ট পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সহনশীল আচরণ করা দরকার। আর শিক্ষার্থীদেরও বিষয়গুলো বুঝতে হবে। অপ্রত্যাশিত যেকোনো ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে কলেজ প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানাতে হবে। বাস আটক করে রাখা যুক্তিসঙ্গত সমাধান নয়। আগেও আমরা স্থানীয় থানা পুলিশের সমন্বয়ে একাধিকার মালিকপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছি। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।
এর আগে বিকেল ৩টার দিকে রাজধানীর শ্যামলী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় হাফ ভাড়া নিয়ে বাসের সহকারীর সঙ্গে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে ওই বাসে থাকা ঢাকা কলেজের তিন শিক্ষার্থী আহত হন। তারা হলেন— কলেজের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী সোহাগ হোসেন, আশফাক ইমতিয়াজ ও ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী অমিত হাসান। এরা তিনজনই কলেজের দক্ষিণ ছাত্রাবাসের আবাসিক শিক্ষার্থী।
এছাড়া বাসে হাতাহাতির একপর্যায়ে ওই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে থাকা দুটি স্মার্টফোন এবং নগদ পাঁচ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।
খুলনা গেজেট/ এস আই