কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে ফরিদুল ইসলাম (২২) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহতের ছয় দিন পার হলেও পরিবারের কাছে মরদেহ ফেরত দেয়নি বিএসএফ। তার মরদেহ ভারতে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
গত বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে ভারতের আসাম রাজ্যের হাটশিংমারী এলাকার দাফাদারপাড়ায় কবরস্থানে স্থানীয় মুসলিমদের দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ফরিদুলের মরদেহ দাফন করা হয়। এ সময় হাটশিংমারী জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, বিএসএফ, পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি ভারতের অসম টুডে নামে একটি আইপি টিভির খবরে প্রকাশিত হয়। পরে ওই খবরের একটি ভিডিও ফুটেজ দেখে স্থানীয়রা বিষয়টি নিশ্চিত হন।
রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য শাজাহান আলী বলেন, ভিডিওতে দেখেছি ফরিদুলের মরদেহ ভারতের কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
৩৫ বিজিবির জামালপুর ব্যাটালিয়নের দাঁতভাঙ্গা বিওপির সুবেদার মো. আনছার আলী বলেন, এ বিষয়ে বিএসএফ আমাদেরকে কিছুই জানায়নি। আমরাও কিছুই জানি না।
উল্লেখ্য, গত রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ভোররাতে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের পূর্বকাউয়ারচর সীমান্তের আর্ন্তজাতিক ১০৫৭ নং মেইন পিলারের ৩-এসটি সাব পিলালের কাছে ভারতীয় গরু বাঁশের তৈরি আড়কি দিয়ে কাঁটাতারের বেড়ার ওপর দিয়ে পারাপারের সময় বিএসএফের গুলিতে নিহত হন ফরিদুল ইসলাম। তিনি দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের হরিণ ধরা গ্রামের মৃত মুজিবুর রহমান ছেলে।
খুলনা গেজেট/এএ