অভয়নগরের ভৈরব নদে ডুবে যাওয়া কার্গো ১৫ দিনে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে নৌ কতৃপক্ষ। নদে এখন নৌযান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। চলতি মাসের প্রথম দিকে ভৈরব নদে ৬৮০ মেট্রিক টন সরকারি ইউরিয়া সার বোঝাই এমভি শারিব বাঁধন নামে কার্গো ডুবে যায়। এরপর থেকে জাহাজটি উদ্ধার কাজ অব্যহত থাকে। অবশেষে বৃহস্পতিবার(১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে কার্গোটি উদ্ধার করে নওয়াপাড়া নদী বন্দর কতৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, ভৈরব নদে ৬৮০ মেট্রিক টন সরকারি ইউরিয়া সার বোঝাই এমভি শারিব বাঁধন নামে একটি কার্গো ডুবে যায়। উদ্ধার কাজ শুরু না হওয়ায় নৌযান চলাচল ব্যহত হয়। ১৫ দিনের মধ্যে জাহাজ উদ্ধারের সময় বেঁধে দিয়েছিল নৌ বন্দর কর্তৃপক্ষ।
টোটাল শিপিং লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান বিসিআইসির কার্যাদেশে কাতার থেকে ইউরিয়া সার আমদানি করে। গত ২১ জানুয়ারি চট্রগ্রাম বন্ধরে থেকে এমভি শারিব বাঁধন নামে একটি কার্গো জাহাজ ৬৮০ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার লোড করে নওয়াপাড়া নদীবন্দর এলাকায় পৌঁছালে ভৈরব নদে ডুবে যায়। ডুবে যাওয়া জাহাজে ৬৮০ মেট্রিক টন বা ১৩ হাজার ৬০০ বস্তা সার ছিল। যার মূল্য আনুমানিক ১ কোটি ২০ লাখ টাকা। এমভি শারিব বাঁধন জাহাজটি নদের মাঝামাঝি স্থানে ডুবে থাকে। নৌবন্দর কর্তৃপক্ষ ডুবে যাওয়া জাহাজের দুই পাশে লাল রঙের পতাকা টানিয়ে নৌযান চলাচলে সতর্ক করে দিয়েছিল।
খুলনা নৌ সংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মো. আশরাফ হোসেন বলেন, নদে ডুবে যাওয়া এমভি শারিব বাঁধন জাহাজ উদ্ধারে সহায়তার প্রস্তাব দেওয়া হলেও মালিক পক্ষ তা নাকচ করে । পরে মালিক পক্ষ নিজ উদ্যোগে উদ্ধার কাজ করবেন বলে জানায়। অবশেষে আমরা কার্গোটি উদ্ধার করেছি।
খুলনা গেজেট/ এস আই