খুলনা, বাংলাদেশ | ৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  রাজধানীর উত্তরা থেকে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম গ্রেপ্তার
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৮৩
  ১৬ ডিসেম্বর ঘিরে কোনো ধরণের হামলার শঙ্কা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মৌলিক আইনগুলো সহজপাঠ্য করতে সরকারকে আইনি নোটিশ : হাইকোর্ট

গেজেট ডেস্ক

দেওয়ানি, ফৌজদারিসহ দেশের মৌলিক আইনগুলো বাংলায় প্রণয়ন ও পাঠযোগ্য করতে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন ১০ জন আইনজীবী। বৃহস্পতিবার আইন সচিব, আইন কমিশনের চেয়ারম্যান, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

১০ আইনজীবীর পক্ষে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এ নোটিশ পাঠিয়েছেন।

নোটিশদাতা ১০ জন আইনজীবী হলেন মোস্তাফিজুর রহমান, মীর ওসমান বিন নাসিম, মো. আসাদ উদ্দিন, মো. মুজাহিদুল ইসলাম, জোবায়েদুর রহমান, মো. আব্দুস সবুর দেওয়ান, আল রেজা মো. আমির, আব্দুল্লাহ হিল মারুফ ফাহিম, জি এম মুজাহিদুর রহমান ও মো. জহিরুল ইসলাম।

পরে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির জানান, দেশের দেওয়ানি, ফৌজদারি, দণ্ডবিধি, সাক্ষ্য ও তামাদি আইনের মতো মৌলিক আইনগুলোর বাংলায় অনুদিত নির্ভরযোগ্য পাঠ প্রণয়ন ও প্রকাশ করতে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়েছে, ‘আমাদের সংবিধানের ৩ নং অনুচ্ছেদে ‘বাংলা’কে একমাত্র রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। আর এ অনুচ্ছেদের বিধানকে পূর্ণরূপে কার্যকর করার উদ্দেশ্যে ১৯৮৭ সালে বাংলা ভাষা প্রচলন আইন প্রণয়ন করা হয়। সে আইনের ৩ ধারা অনুযায়ী সর্বত্র তথা সরকারি অফিস, আদালত, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে সব কার্যাবলী অবশ্যই বাংলায় হতে হবে। এ আইনি বিধান সত্ত্বেও দেশের আদালতের অধিকাংশ রায় ও আদেশ এবং অন্যান্য কার্যাবলী ইংরেজিতে প্রদান করা হয়।’

নোটিশে আরও বলা হয়, ‘আদালতে মামলার বিভিন্ন পর্যায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে দেওয়ানি কার্যবিধি, ফৌজদারি কার্যবিধি, দণ্ডবিধি, সাক্ষ্য আইন, চুক্তি আইন, তামাদি আইন ও সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের মতো মৌলিক আইনগুলোর গুরুত্ব ও ব্যবহার সর্বাধিক। কিন্তু এখন পর্যন্ত এসব মৌলিক আইনের কোনো নির্ভরযোগ্য বাংলা পাঠ প্রণয়ন করা হয়নি। আদালতে বাংলা ভাষা প্রচলনের স্বার্থে এসব আইনের বাংলায় অনুদিত নির্ভরযোগ্য পাঠ প্রণয়ন ও প্রকাশ অত্যাবশ্যক। তাই মৌলিক আইনগুলোর বাংলায় অনুদিত নির্ভরযোগ্য পাঠ প্রকাশে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের অনুরোধ করছি। অন্যথায় নোটিশ দাতারা বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হবেন।’

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!