বাগেরহাটে ট্রাফিক পুলিশের মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা নেওয়ার সময় জাহাঙ্গীর আলম লাভলু (৫০) নামের এক প্রতারককে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে বাগেরহাট নতুন পুলিশ লাইনের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক জাহাঙ্গীর আলম লাভলুর পুলিশ লাইনের সামনে চায়ের দোকান রয়েছে। এক সময় সে বাগেরহাটে-ঢাকা রুটে হামীম পরিবহনের চালক ছিল।
বাগেরহাট ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গাড়িতে কাগজপত্র না থাকায় সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে বাগেরহাটের রামপাল গোবিন্দপুর গ্রামের মো. আক্কাস আলী শেখের ছেলে মিলন সেখ টিটু’র বাগেরহাট-হ-১১-৯১৩৮ নম্বরের মোটরসাইকেলটি আটক করে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। কোন কাগজ পত্র না দেখাতে পারলে মটর সাইকেলটি পুলিশ লাইনে আনা হয়। এদিন রাতে মিলন শেখ গাড়ীর ব্লু-বুক ও ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ যাবতীয় কাগজপত্র নিয়ে আসলে, গাড়িটি দিয়ে দেওয়া হয়। গাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় মামুন জানায় এই গাড়ি ছাড়ানোর (ফিরিয়ে দেওয়া) জন্য চায়ের দোকানি লাভলু মিলনের কাছ থেকে ৫ হাজার ১০০ টাকা চায়। টাকা না দিলে মামলা হতে পারে এমন ভয় দেখায়। পরে মামুন লাভলুকে টাকা দেওয়ার জন্য ডাকলে পুলিশ হাতে নাতে লাভলুকে আটক করে।
বাগেরহাট ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (প্রশাসন) মামুন অর রশীদ বলেন, বৈধ কাগজপত্র না থাকার কারণে ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি আটকালে কাগজপত্র করে গাড়ি নিয়ে যেতে পারবেন। এক্ষেত্রে টাকা লাগবে না। অথবা কোন কারণে যদি মামলা দেয় ট্রাফিক পুলিশ সেক্ষেত্রে মামলার টাকা পরিশোধ করতে হবে। বাইরের কাউকে টাকা দেওয়া, বা বাইরের কেউ টাকা দাবির প্রশ্নই আসেনা। লাভলু ভয় দেখিয়ে অনৈতিকভাবে টাকা দাবি করায়, তাকে মডেল থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছি। ট্রাফিক পুলিশকে দেওয়ার কথা বলে, বা ট্রাফিক পুলিশের নামে কোন লোক টাকা চাইলে ট্রাফিক পুলিশকে জানানোর অনুরোধ করেন তিনি।
বাগেরহাট সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম বলেন, প্রতারণার মাধ্যমে টাকা গ্রহণের সময় আমরা লাভলুকে আটক করেছি। এ ঘটনায় বাগেরহাট সদর মডেল থানায় একটি মামলা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই