বিপিএলে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে জ্যাকস ও শেষদিকে শামীমের ব্যাটিং তাণ্ডবে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
সিমন্স, বোপারা ও মোসাদ্দেকের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ১৮৫ রান করে সিলেট সানরাইজার্স। জবাবে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু পরও সাজঘরে ফিরেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ওপেনার জাকির হাসান। ৯ বলে ১৭ রান করে সোহাগের বলে ফিরেন তিনি। আফিফও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন।
চট্টগ্রামের লক্ষ্য যখন বড় তখন হাল ধরেছিলেন জ্যাকস ও ওয়ালটন জুটি। জ্যাকসের সঙ্গে আগ্রাসী ব্যাটিং করেন ওয়ালটনও। এ দুই ব্যাটারের জুটি চট্টগ্রামের প্লে-অফের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রেখেছিল। তাদের জুটি ভাঙে রান-আউটে। ৬৯ রানের জুটি গড়ার পর রান-আউটের শিকার হন ২৩ বলে ৩৫ রান করা ওয়ালটন।
ওয়ালটন বিদায় নিলেও জ্যাকস অর্ধশতক তুলে নেন ৩৫ বলে। হাওয়েল বড় শট না খেললেও অন্যপাশ থেকে দ্রুত রান তুলতে থাকেন জ্যাকস। তার ব্যাটিংয়ে ফের জয়ের আশা বুনতে থাকে চট্টগ্রাম। হাওয়েল বিদায় নেন দলীয় ১৪৩ রানে।
তখনও ২৭ বলে ৪৩ রানের দরকার ছিল চট্টগ্রামের। শেষদিকে চট্টগ্রামকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান শামিম। ১৭তম ওভারটি করতে আসেন বোপারা। ওই ওভার থেকে আসে ১৪ রান। ফলে ম্যাচের মোড় ঘুরে যায় সেখান থেকেই। শামিম ঝড় থামান আলাউদ্দিন। তবে ততক্ষণে ম্যাচ জয়ের খুব কাছাকাছিই চলে এসেছিল চট্টগ্রাম।
শেষ ওভারে ৪ রানের প্রয়োজন প্রয়োজন হলে ৪ উইকেট হাতে নিয়েই ম্যাচ জিতে নেয় চট্টগ্রাম। ব্যাট হাতে ৫৭ বলে ৯২ রান করে অপরাজিত থেকেন জ্যাকস। রান করে অপরাজিত ছিলেন জ্যাকস। এই পরাজয়ে মাত্র এক জয় নিয়ে বিপিএল শেষ করল সিলেট সানরাইজার্স।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে এনামুল হক বিজয় ও লেন্ডল সিমন্সের ব্যাটে বড় রানের আশায় বুক বাঁধছিল সিলেট। সিমন্স ও বিজয় মিলে তোলেন ৫৪ রান। ২৭ বলে ৪২ রান করে আউট হন সিমন্স। বিজয়ও থিতু হয়ে আউট হন (৩২)।
তবে ইনিংসের শেষের দিকে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন বোপারা ও মোসাদ্দেক। বোপারার ২১ বলে ৪৪ ও মোসাদ্দেকের অপরাজিত ২২ বলে ৩৫ রানে ভর করে ১৮৫ রান তোলে সিলেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর –
সিলেট ১৮৫-৬ (ওভার ২০)
বোপারা ৪৪, সিমন্স ৪২ : মৃত্যুঞ্জয় ৩-৩৭
চট্টগ্রাম ১৮৮-৬ (১৯.১)
জ্যাকস ৯২*, ওয়ালটন ৫, শামিম ২১ : সোহাগ ২-২১