সন্ত্রাসী সংগঠন ইসলামিক স্টেটের প্রধান আবু ইব্রাহিম আল-হাশিমি আল-কুরাইশিকে হত্যা করেছে মার্কিন সেনারা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক বিবৃতিতে এই সফল অপারেশনের কথা জানান। একইসঙ্গে এতে অংশ নেয়া মার্কিন সেনাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি।
স্কাই নিউজের খবরে জানানো হয়েছে, মার্কিন সেনারা আল-কুরাইশির বাড়ি ঘিরে ফেললে তিনি তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ ঘটান। এতে তিনিসহ তার পরিবারের সদস্যরা মারা যান। সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকা ইদলিবের একটি বাড়িতে অবস্থান করছিলেন আল-কুরাইশি। তাকে ধরতে ২ ঘন্টা ধরে ওই অভিযান পরিচালনা করে মার্কিন সেনাবাহিনী। এতে মোট ১৩ জন নিহত হন। তবে মার্কিন সেনাদের কেউ হতাহত হননি।
আইএস প্রধানকে হত্যার খবর দিয়ে অভিযানে অংশ নেয়া সেনা সদস্যদের ধন্যবাদ জানান বাইডেন। তিনি বলেন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর দক্ষতা ও সাহসিকতার জন্য ধন্যবাদ, আমরা যুদ্ধক্ষেত্র থেকে আবু ইব্রাহিম আল-হাশিমি আল-কুরায়শিকে সরিয়ে দিয়েছি। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ও মিত্রদের সুরক্ষিত করতে এবং বিশ্বকে নিরাপদ করতে এই সন্ত্রাসবিরোধী অপারেশন পরিচালনা করা হয়।
২০১৯ সালে আইএস প্রধান আবু বকর আল-বাগদাদিকে হত্যার পর আল-কুরাইশিকে জিহাদি সংগঠনটির প্রধান করা হয়। আইএসের কথিত ইসলামি খেলাফত ধ্বংস করা গেলেও সংগঠনটির জিহাদিরা এখনো বিভিন্ন ভাবে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে। সাম্প্রতিক সময়ে একটি কারাগারসহ বেশ কিছু স্থানে হামলা চালিয়েছে তারা। আইএসের পুনরুত্থান ঠেকাতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এরই অংশ হিসেবে গতকাল মধ্যরাতে আল-কুরাইশির অবস্থান লক্ষ্য করে অভিযান চালানো হয়। অভিযান চলাকালীন সেখানে হেলিকপ্টার ও গুলির শব্দ পাওয়া যায় বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।
মার্কিন সেনারা লাউডস্পিকার দিয়ে সেখানকার নারী ও শিশুদের স্থান ত্যাগের আহবান জানায়। তবে আল-কুরাইশির আত্মঘাতী বিস্ফোরনে তারাও নিহত হন। নিহতদের মধ্যে অন্তত ৬ নারী ও ৪ শিশু রয়েছে।
খুলনা গেজেট/এএ