দিঘলিয়ায় আলোচিত ১১ বছরের কিশোরী ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর শেখ (৫০) আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন।
দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আহসান উল্লাহ চৌধুরী খুলনা গেজেট কে বলেন, দিঘলিয়া থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলার আসামি জাহাঙ্গীর শেখ আজ বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) খুলনা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত -১ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মনিরুজ্জামানের সামনে তার দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। পরে বিজ্ঞ আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করেন।
এর আগে মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি)) দিবাগত রাত আড়াইটার সময় গোপন সংবাদ এবং উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইন্সপেক্টর (তদন্ত) দিঘলিয়া থানা রিপন কুমার সরকার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ফুলতলা উপজেলার জামিরা এলাকা থেকে দিঘলিয়া থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলার আসামি জাহাঙ্গীর শেখ কে গ্রেপ্তার করে।
কিশোরীর বাবার থানায় অভিযোগ দায়ের করা এজাহারের ভিত্তিতে জানা যায়, তার স্ত্রী দর্জি এবং কাপড়ের ব্যবসা করার সুবাদে প্রতিবেশী মৃত মতি শেখের ছেলে মোঃ জাহাঙ্গীর শেখ (৫০) নিজের স্ত্রীর জন্য বাকিতে কাপড় তৈরি করে। রবিবার (৩০ জানুয়ারি) বকেয়া টাকা পরিশোধের দিন থাকায় সন্ধ্যা আনুমানিক সোয়া ৬ টার দিকে বাদীর মেয়েকে জাহাঙ্গীরের বাড়িতে টাকা আনতে পাঠায়। এ সময় জাহাঙ্গীর তার মেয়েকে টাকা দেয়ার কথা বলে ঘরের ভিতরে ডেকে নিয়ে যায় এবং ধর্ষণের উদ্দেশ্যে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে ওই কিশোরীর পরনের কাপড় খুলে ফেলে। ঘটনার সময় জাহাঙ্গীর ছাড়া বাড়িতে কেউ ছিল না।
এ সময় কিশোরীর আত্মচিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসার আওয়াজ পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টাকারী জাহাঙ্গীর ওই কিশোরীর হাতে পাওনা টাকা দিয়ে বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভীতিসহ এ ঘটনার বিষয়ে কাউকে কিছু বলতে নিষেধ করে এবং হুমকি দিয়ে বলে- ‘এ বিষয় কাউকে যদি কিছু বলিস তাহলে তোকে মেরে ফেলবো’।
ঘটনার কিছুক্ষণ পর ওই কিশোরী বাড়িতে এসে বকেয়া টাকা তার মায়ের কাছে দিয়ে ঘটনার বিষয়ে খুলে বলে। পরে ঘটনার দিন রাতেই দিঘলিয়া থানায় উপস্থিত হয়ে জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
দিঘলিয়া থানা পুলিশ ঘটনার সত্যতা পাওয়ার পর মেয়েটিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পাঠায়। ঘটনাটি দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর ইউনিয়নের বারাকপুর গ্রামের উঃ পাড়ায়।
এ ব্যাপারে দিঘলিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর (সংশোধিত) ২০০৩ এর ৯ (১) এর ধারায় একটি ধর্ষণ মামলা রুজু হয়। মামলা নং ১৩। তাং ৩১/০১/২০২২।
খুলনা গেজেট/ এস আই