মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে হাসপাতাল থেকে গাড়িতে করে বাসার পথে রওনা দেন খালেদা জিয়া।
এদিকে সন্ধ্যায় বেগম জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা জানাতে ব্রিফ করেন চিকিৎসকরা।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্য প্রফেসর ডা. ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ সিদ্দিকী জানান, বেগম খালেদা জিয়াকে বাসায় রেখে চিকিৎসা দেওয়া হবে বলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, দাঁত, চোখের সমস্যাসহ সবশেষ লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত ছিলেন।
গত বছরের ১১ এপ্রিল করোনা আক্রান্ত হন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে ২৭ এপ্রিল তাকে ভর্তি করা হয় রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে। প্রথম দফায় ৫২ দিন চিকিৎসা শেষে ১৯ জুন বাসায় ফেরেন বিএনপি নেত্রী।
বাসায় থেকে মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলছিল তার। কিন্তু জ্বরে আক্রান্ত হলে ১২ অক্টোবর দ্বিতীয় দফায় আবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় খালেদা জিয়াকে। এ সময় তার বায়োসপসি পরীক্ষা করা হয়। সেই রিপোর্ট দেখে দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের পরামর্শে চলতে থাকে চিকিৎসা। এ দফায় ২৬ দিন হাসপাতালে ছিলেন বিএনপি নেত্রী।
বাসায় ফেরার এক মাসের মাথায় ১৩ নভেম্বর তৃতীয় দফায় আবারও ভর্তি করা হয় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে। এবার তার লিভার সিরোসিস ধরা পড়ে। বিদেশে নেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। আইনি সুযোগ না থাকায় অনুমতি দেয়নি সরকার। এরপর থেকে টানা ৮১ দিন এভার কেয়ারে আছেন বেগম জিয়া।
এরই মধ্যে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করা হয়েছে বেগম জিয়ার গুলশানের ফিরোজার বাসা।
খুলনা গেজেট/এএ