বাগেরহাটের চিতলমারীতে কাটা জখম ও মারপিটের ব্যাথায় চারদিন ধরে হাসপাতালে বেডে শুয়ে কাতরাচ্ছেন প্রতিবন্ধী যুবক হরিচাঁন রায় (২৫)। গত ২৮ জানুয়ারি বেলা ১১ টায় প্রতিপক্ষ দুই যুবক তাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হরিচান রায় উপজেলার চরবানিয়ারী ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের মধু রায়ের ছেলে। এ ঘটনার ৪ দিন পর মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আহত হরিচাঁন রায়ের বাবা মধু রায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
প্রতিবন্ধী হরিচান রায়ের বাবা মধু রায় কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, পূর্বশত্রুতার জের ধরে প্রতিবেশী মনিমোহন রায়ের ছেলে স্বপন রায় ও তপন রায় ২৮ জানুয়ারী বেলা ১১ টায় আমার বাড়িতে প্রবেশ করেন। এ সময় তাঁরা বিশ্রী ভাষায় গালাগালি দিয়ে আমার বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ছেলে হরিচাঁন রায়কে নির্মম ভাবে পিটিয়ে ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। হরিচান রায়কে রক্ষার্থে ঠেকাতে গেলে ওরা আমার স্ত্রী মরনী রায়কেও পিটিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা হরিচানকে উদ্ধার করে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সে এই ৪ দিন ধরে হাসপাতালে বেডে শুয়ে ব্যাথায় কাতরাচ্ছে।
অভিযুক্ত তপন রায় সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, হরিচান আমাদের বাড়িতে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করছিল। বাধা দেয়ায় হাতাহাতি হয়। পড়ে গিয়ে তার মাথা ফেটেছে।
চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার চিকিৎসক তানিয়া অধিকারী সংবাদিকদের বলেন, হরিচান রায় চারদিন ধরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। তার মাথায় ৪টি সেলাই লেগেছে।
চিতলমারী থানার পরিদর্শক (ওসি) এএইচএম কামরুজ্জামান খান বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। এখনও লিখিত অভিযোগ হাতে পাইনি। অবশ্যই বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খুলনা গেজেট/এনএম