করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়ে আইসোলেশনে আছেন পরিবারসহ ট্রুডো। সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা শনাক্তের খবর টুইটারে তিনি নিজেই জানিয়েছেন। সোমবার টুইটারে ট্রুডো লিখেছেন, ‘আজ সকালে আমি করোনা পজিটিভ বলে জানতে পেরেছি। তবে আমি সুস্থ আছি। এখনও কোনো সমস্যা মনে হচ্ছে না।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি স্বাস্থ্যবিধি মেনে দূর থেকে কাজ চালিয়ে যাব।’ ট্রুডো জনগণকে করোনার ভ্যাকসিন নিতে আহ্বান জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে ও মাস্ক পরার অনুরোধ জানিয়েছেন।
বেশ কয়েক দিন থেকেই ট্রুডো ও তার পরিবার আইসোলেশনে রয়েছেন। তার কার্যালয় জানায়, ট্রুডোর এক সন্তান করোনা পজিটিভ হওয়ার পর থেকেই তার পুরো পরিবার আইসোলেশনে রয়েছে।
এর আগে ফার্সটুডের প্রতিবেদনে বলা হয়, কানাডার রাজধানী অটোয়ায় ভ্যাকসিনের বিরোধিতা করে ট্রাকচালকরা আন্দোলন করায় অটোয়ার বাসস্থান ছেড়েছেন ট্রুডো। পরবর্তীতে পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে গোপন স্থানে আত্মগোপনে চলে যান।
করোনার ভ্যাকসিন বাধ্যতামূলক করার প্রতিবাদে কানাডায় ট্রাকচালকদের ব্যাপক বিক্ষোভ চলছে।
জানুয়ারির ১৫ তারিখ থেকে কার্যকর হওয়া কানাডার কোভিড-১৯ ম্যান্ডেটে বলা হয়েছে, ট্রাক ড্রাইভারদের সীমান্ত অতিক্রম করতে হলে ভ্যাকসিন সনদ থাকতে হবে। যে ট্রাকচালকদের ভ্যাকসিন দেয়া হয়নি, তাদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে আসার সময় করোনাভাইরাসের টেস্ট করাতে হবে এবং বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
ট্রাক চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্থবির হয়ে পড়েছে বিভিন্ন শহর। এতে ব্যাহত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে পণ্য আমদানি। পণ্য বহন না করে ট্রাক নিয়ে অটোয়ায় জড়ো হয়েছেন হাজার হাজার চালক।