পাইকগাছার কপিলমুনিতে আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে পারিবারিক কবরস্থানের জায়গায় দোকানঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। তঞ্চকতাপূর্ণ দলিলে জমি কিনে তালার গঙ্গারামপুর এলাকার জনৈক আবু তালেব গাজী জোরপূর্বক সদরের নগরশ্রীরামপুর মৌজায় ৩টি দোকান ঘর নির্মাণ করছেন।
কপিলমুনি বাজারের মৃত হাবিবুর রহমান গাইনের ছেলে আব্দুল্লাহ গাইন তার লিখিত অভিযোগে বলেন, কপিলমুনি সদরের নগরশ্রীরামপুর মৌজায় তার পিতার নামে পারিবারিক কবরস্থান শ্রেণীভূক্ত করে ৩ শতক জমির রেকর্ড রয়েছে। যেখানে তার পিতা-মাতাসহ অন্যান্য স্বজনদের কবর রয়েছে। যার ডিপি খতিয়ান নং-৩৫৬, দাগ নং-৫৭।
সম্প্রতি তালা উপজেলার গঙ্গারামপুর গ্রামের মৃত আ: কব্বার গাজীর ছেলে মো: আবু তালেব গাজী বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ভূয়া ও তঞ্চকতাপূর্ণ দলিল প্রস্তুত করে কবরস্থানের জায়গায় জোরপূর্বক ৩ টি দোকান ঘর প্রস্তুত করতে থাকে। প্রাথমিকভাবে তাকে নিষেধ করা স্বত্ত্বেও স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালী মহলকে ম্যানেজ করে তার নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখে।
এমন পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে হাবিবুর রহমান গাইনের ছেলে আব্দুল্লাহ গাইন বাদী হয়ে পাইকগাছা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মো: আবু তালেব গাজীকে প্রধান করে ৩ জনের নামে ১৪৪ ধারা মোতাবেক একটি মামলা করেন। যার নং-২৩৯/২০২১। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে ব্যবস্থা গ্রহণে পাইকগাছা থানা অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ দেন। যার স্মারক নং-০৯(যুক্ত), তারিখ ১৭/০১/২২। যার প্রেক্ষিতে থানার এএসআই (নিঃ) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম উভয় পক্ষকে বিষয়টি নোটিশ দিয়ে অবহিত করেন।
এদিকে আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে আবু তালেব ভাড়াটিয়া লোকদের সম্পৃক্ত করে সেখানে দোকানঘর নির্মাণ অব্যাহত রেখেছে। থানা পুলিশ মামলার বিষয়ে অবহিত করে নোটিশ প্রদানের পরও রবিবার সকাল পর্যন্ত সেখানে কার্যক্রম পরিচালনা করে।
এ বিষয়ে হাবিবুর রহমানের ছেলে আব্দুল্লাহ গাইন বলেন, তাদের কবরস্থানে পারিবারিক কবরস্থান লেখা একটি সাইনবোর্ড ছিল। যা আবু তালেবের নেতৃত্বে উঠিয়ে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। তার আশংকা, যেকোন সময় তারা ফের সেখানে সম্পূর্ণ দোকানঘর প্রস্তুত করতে পারেন। এনিয়ে তিনি স্থানীয় প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আবু তালেব গাজীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মূল মালিকের কাছ থেকে তিনি জমি খরিদ করে সেখানে ঘর নির্মাণ করছেন।
যদিও রেকর্ডীয় মালিক হাবিবুর রহমান গাইনের ছেলেরা বলছেন, তারা কেউ কাউকে কোন প্রকার জমি লিখে দেননি। এমনকি কবরস্থানের সম্পত্তি রেজিস্ট্রিরও কোন বিধান নেই বলেও জানান তারা।
খুলনা গেজেট/এনএম