ল্যান্ডল সিমন্সের সেঞ্চুরিতে ভর করে মিনিস্টার ঢাকার বিপক্ষে ১৭৫ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল সিলেট সানরাইজার্স। সেই সেঞ্চুরির জবাব সেঞ্চুরিতেই দিয়েছেন তামিম ইকবাল। আর তার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ঢাকা ম্যাচ জিতেছে ৯ উইকেটে।
সিলেটের দেয়া বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ঢাকাকে উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছেন তামিম ও মোহাম্মদ শাহজাদ। এই দুজনে ওপেনিং জুটিতে মাত্র ৯ ওভারেই ১০০ রান তোলে ঢাকা। শাহজাদ দেখেশুনে খেললেও তামিম শুরু থেকেই ছিলেন মারমুখি। তিনি মোসাদ্দেক হোসেনকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে চার মেরে ক্যারিয়ারের ৪৩তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন।
যদিও তামিম কোনো রান করার আগেই ফিরতে পারতেন। তাসকিন আহমেদের করা প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছিলেন এই ওপেনার। যদিও সেই ক্যাচ লুফে নিতে পারেননি স্লিপে থাকা মোহাম্মদ মিঠুন। এরপর ব্যক্তিগত ৭১ রানে তাকে আবারও জীবন দেন বিজয়। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ৬১ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন তামিম।
বিপিএলে এটি তামিমের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। তিন অঙ্ক পেরিয়ে ৬৪ বলে ১১১ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ঢাকাকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েছেন। তামিমের এই ইনিংসটি সাজানো ছিল ৪টি বিশাল ছক্কা ও ১৬টি চারে।
অন্যপ্রান্তে তামিমকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন শাহজাদ। এই আফগান ওপেনার ৩৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। জয়ের মাত্র ৩ রান বাকি থাকতে এই ব্যাটার ব্যক্তিগত ৫৩ রানে আলাউদ্দিন বাবুর বলে সানজামুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিংয়ের ৫০ রান যোগ করেন এনামুল হক বিজয় ও ল্যান্ডল সিমন্স। বিজয় ১৮ রান করে ফিরে গেলে এই জুটি ভাঙে। এরপর দ্রুত মোহাম্মদ মিঠুন (৬), কলিন ইনগ্রাম (০) ও রবি বোপারার (১৩) উইকেট হারায় সিলেট। যদিও একপ্রান্ত আগলে রেখে ৩৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন সিমন্স।
শুরুতে দেখেশুনে খেললেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হাত খুলে খেলে ৫৯ বলে বিপিএলের চলতি আসরের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন এই ক্যারিবীয় ব্যাটার। ৬৫ বলে ১১৬ রানের ইনিংস খেলে শেষ পর্যন্ত আন্দ্রে রাসেলের শিকার হয়েছেন তিনি। এই ইনিংস খেলার পথে পাঁচটি ছক্কা ও ১৪টি চারে বিধ্বংসী এই ইনিংস খেলেন সিমন্স।
এরপর মোসাদ্দেক হোসেন ১৩ ও আলাউদ্দিন বাবু ২ রানে অপরাজিত থেকে সিলেটের বড় সংগ্রহ নিশ্চিত করেন। ঢাকার হয়ে একটি করে উইকেট নেন মাশরাফি বিন মুর্তজা, আন্দ্রে রাসেল, এবাদত হোসেন ও কাইস আহমেদ।