মোংলায় বঙ্গবন্ধু ঘষিয়াখালী নৌ-ক্যানেলে সিমেন্ট বোঝাই একটি কার্গো জাহাজ তলা ফেটে দুর্ঘটনা কবলিত অবস্থায় নদীর চরে আটকে রয়েছে।
ঢাকার নারায়গঞ্জ থেকে মোংলার দিকে আসার সময় পেড়ীকালী পুটিমারি খালে মুখ সংলগ্ন এলাকায় বিপরীত থেকে আসা অন্য একটি কোষ্টারের ধাক্কায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রায় ৯ হাজার বস্তা সিমেন্ট নিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয় কার্গো জাহাজ এমভি মেঘনা-৭ নামের জাহাজটি। তবে সচেতন মাস্টার ডুবে যাওয়ার সময় পণ্য বোঝাই কার্গোটি দ্রুত চালিয়ে কিনারে গিয়ে নদীর চরে আটকে দিলে বড় ধরনের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।
কার্গোটি রক্ষা করতে অন্য জাহাজে সিমেন্ট খালাস করা হচ্ছে বলেও জানায় কার্গো মাষ্টার মোঃ মিরাজুল ইসলাম (সিরাজ)। তবে পণ্য বোঝাই কার্গোর ফাটলে হুমকিতে বঙ্গবন্ধু মোংলা ঘোষিয়াখালী ক্যানেল।
মাষ্টার শেখ মিরাজুল ইসলাম সিরাজ জানান, ঢাকার নারয়ণগঞ্জের একটি সিমেন্ট কারখানা থেকে ৮ হাজার ৮৫০ বস্তা ফ্রেশ সিমেন্ট বোঝাই করে খুলনার ফুলতলার উদ্দেশ্যে আসছিল কার্গো জাহাজ এমভি মেঘনা-৭ নামের এ জাহাজটি।
সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে ঘোষিয়াখালী ক্যানেল পয়েন্টে এ আজিজ নামের অন্য একটি কোষ্টার জাহাজ ক্যানেলের নাব্যতা সংকটের ফলে ওই স্থানে ডুবোচরে আটকে যায়। এ সময় মেঘনা নামের কার্গোটি কোস্টারটির পাশকাটিয়ে আসার সময় পিছনের সাইডে ধাক্কা লেগে তলা ফেটে যায় মেঘনা-৭ নামের কার্গোটির। ওই অবস্থায় কিছুদূর চালিয়ে যাওয়ার পরে ধীরে ধীরে কার্গোটি পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে এমন অবস্থা বুঝতে পেরে কার্গোটি দ্রুত পেড়িখালীর পুটিমারী খাল সংলগ্ন চ্যানেলের চরে উঠিয়ে দেয়। পরে কার্গোটিকে ডুবে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে অন্য একটি পণ্যবাহী নৌযানে দ্রুত সিমেন্ট খালাস কাজ শুরু করা হয়েছে বলেও জানায় জাহাজটির মাষ্টার সিরাজ।
তিনি আরও জানান, কার্গোটি ঝুঁকিতে আছে, কার্গো থেকে সিমেন্ট অন্য একটি নৌযানে খালাস করা হচ্ছে তবে উদ্ধারকারী জাহাজ বা বন্দর কর্তৃপক্ষকে দূর্ঘটনার বিষয়টি এখনও জানানো হয়নি। দুর্ঘটনা কবলিত কার্গোটি মেঘনা থেকে সিমেন্ট খালাসের জন্য ৬০ জন শ্রমিক লাগানো হয়েছে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত তাদের মাধ্যমে দুই হাজার বস্তা সিমেন্ট খালাস করা হয়েছে। জাহাজটি এখনও পুরোপুরি ঝুঁকি মুক্ত নয় তবে নৌ-ক্যানেল দিয়ে কার্গো, লাইটার ও কোষ্টার জাহাজ আসা-যাওয়ার জন্য নিরাপদ রয়েছে, নৌযান চলাচলে কোন সমস্যা নেই বলেও জানায় মাস্টার সিরাজ।
খুলনা গেজেট/ এস আই