খুলনা, বাংলাদেশ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, রাজি পাকিস্তান; ভারতের ম্যাচ দুবাইয়ে : বিসিবিআই সূত্র
  গুমের দায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২২ সদস্য চাকরিচ্যুত, গুম কমিশনের সুপারিশে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে
‘ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হবে কৃষকরা’

নতুন করে রপ্তানী শুল্ক আরোপে ধস নামবে পাটের বাজারে : বিজেএ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারি পাটগুলো বন্ধের পর এবার শত বছরের ঐতিহ্য কাঁচাপাট রপ্তানী বাণিজ্যের উপর কালোছায়া পড়েছে। ভুল তথ্যের মাধ্যমে দেশে পাটের সংকট দেখিয়ে কাঁচাপাট রপ্তানীর উপর প্রতি মন পাটে ৮০০টাকার উপরে রপ্তানী শুল্ক আরোপের অপচেষ্টা চলছে। এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জুট এ্যাসোসিয়েশন (বিজেএ)। রবিবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন সংগঠনের সভাপতি সৈয়দ আলী। এসময়ে খুলনা মহানগর আ’লীগের সভাপতি সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, চলতি অর্থ বছরে পাট অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী এবছর দেশে ৯২ দশমিক ৩৮ লাখ বেল পাট উৎপাদিত হতে পারে বলে প্রথমে প্রকাশ করা হয়। পরবর্তীতে বন্যার কারণে লক্ষমাত্রা ধরা হয় ৮৪ দশমিক ১৪ লাখ বেল। দেশের অভ্যন্তরীন কাঁচা পাটের চাহিদা প্রায় ৫৫ লাখ বেল (সরকারী জুট মিলগুলাের চাদিা প্রায় ১৩ লাখ বেল এবং বেসরকারী জুট ও স্পিনিং মিলসমূহের চাহিদা প্রায় ৪২ লাখ বেল)। কিন্তু সরকারী জুট মিলগুলো বন্ধের কারণে তাদের প্রায় ১৩ লাখ বেল পাটের চাহিদা থাকছে না। ফলে দেশের অভ্যন্তরীণ কাঁচা পাটের চাহিদা এখন সর্বোচ্চ ৪৫ লাখ বেল। বন্ধ হয়ে যাওয়া সরকারী জুটমিলগুলো তাদের মজুদকৃত বিপুল পরিমান পুরাতন কাঁচাপাট তাদের নিজস্ব সরবরাহকারীদের পাওনা টাকার পরিবর্তে ফেরত দেয়ায় সেই পাটও বাজারে চলে আসবে। এরফলে এবছর প্রায় ৪০লাখ বেল কাঁচাপাট উদ্বৃত্ত থেকে যাবে। উদ্বৃত্ত পাট হতে আমরা প্রতি বছর মাত্র ৮-৯ লক্ষ বেল কাঁচাপাট বিদেশে রপ্তানী করে থাকি।

১৯৮৪ সাল হতে ভ্রান্ত ধারণার ভিত্তিতে বিভিন্ন সময়ে কাঁচা পাট রপ্তানী বন্ধ করার কারণে পাটের অভাবে বিদেশের অনেক জুট মিল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমাদের বৈদেশিক বাজার ২৮-৩০ লাখ বেল হতে ৮-৯ লাখ বেলে সংকুচিত হয়েছে। ইচ্ছা করলেও বৈদেশিক ক্রেতার অভাবে আমরা এখন অতিরিক্ত পাট রপ্তানী করতে পারব না। প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে পাটের উৎপাদনও এখন অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই উদ্বৃত্ত পাট ব্যবহারের জায়গা বের করতে না পারলে অধিক পাট উৎপাদনের সুফল আমরা পাবো না। তাই কাঁচাপাট রপ্তানী সচল রাখার মাধ্যমে কাঁচা পাটের আন্তর্জাতিক বাজার ধরে রাখা এবং আন্তর্জাতিক বাজার সম্প্রসারণে উদ্যোগ গ্রহন করা প্রয়ােজন।
কিন্তু দুঃখের বিষয় বাংলাদেশ জুট স্পীনার্স এসোসিয়েশন ভুল তথ্যের মাধ্যমে দেশে পাটের সংকট দেখিয়ে কাঁচাপাট রপ্তানীর উপর ২৫০ মার্কিন ডলার অথাৎ প্রতি মন পাটে ৮০০ টাকার উপরে রপ্তানী শুল্ক আরোপের জন্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব করছে এবং কাঁচাপাট রপ্তানী বন্ধের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বিজেএ।

আ’লীগ নেতা সৈয়দ আলী আরও বলেন, তাদের উদ্দেশ্য সফল হলে পাটের বাজারে ধ্স নামবে এবং কোটি কোটি কৃষক পাটের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়ে আগামীতে পাট চাষে উৎসাহ হারাবে। এছাড়া কাঁচা পাট রপ্তানী কার্যক্রমের সঙ্গে খুলনা, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, উত্তরবঙ্গসহ সারাদেশে সম্পৃক্ত লক্ষাধিক শ্রমিক-কর্মচারী বেকার হয়ে পড়বে। আর ব্যবসার ধারাবাহিকতা নষ্ট হওয়ায় বর্তমানে যেটুকু কাঁচা পাটের আন্তর্জাতিক বাজার আছে, তাও আর থাকবে না।

খুলনা গেজেট/এআইএন




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!