চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা ‘পিপলস ব্যাংক লিমিটেড’ এর অনুকূলে ইস্যু করা লেটার অব ইনটেন্ডের (এলওআই) শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় আবেদন বাতিল করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্ষদ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রস্তাবিত ব্যাংকটির এলওআইয়ের মেয়াদ ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিল। নির্ধারিত সময়ে যেহেতু তারা শর্ত পূরণ করতে পারেনি তাই তাদের সময় বাড়ানোর আবেদন বাতিল করা হয়েছে।
পিপলস ব্যাংকের এলওআইয়ের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদনটি বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্ষদ সভায় বৃহস্পতিবার উঠানো হয়েছিল।
জানা গেছে, দীর্ঘ তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রস্তাবিত পিপলস ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ব্যাংকিং ব্যবসার জন্য লাইসেন্স নিতে চেষ্টা করছে। তবে এলওআইর শর্ত পূরণ না হওয়ায় এ লাইসেন্স পাচ্ছিল না প্রতিষ্ঠানটি। ফলে কয়েক দফা এলওআইর মেয়াদ বাড়িয়ে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সর্বশেষ এলওআইর মেয়াদ শেষ হয় গত ৩১শে ডিসেম্বর। তবে এর আগেই কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন পূরণের জন্য সাকিব আল হাসান ও তার মা শিরিন আক্তারকে পরিচালক করার বিষয়ে অনাপত্তি চেয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে আবেদন করে প্রস্তাবিত ব্যাংকটি।
গত ডিসেম্বরে প্রস্তাবিত পিপলস ব্যাংক সাকিব আল হাসান ও তার মা শিরিন আক্তারকে পরিচালক করার জন্য নথিপত্র বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠায়। এ বিষয়ে অনাপত্তির আবেদন বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্যালোচনায় ছিল। সাকিব ও তার মায়ের বিনিয়োগ করতে হবে ২০ কোটি টাকা। তবে ২৫ কোটি টাকার মতো মূলধন দিচ্ছেন সাকিব।
এর আগে গত ২১শে ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের সঙ্গে দেখা করেন সাকিব আল হাসান। ওই সময় পিপলস ব্যাংকের প্রস্তাবিত চেয়ারম্যান আবুল কাশেমও উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, প্রস্তাবিত ব্যাংকটির উদ্যোক্তা পরিচালক হতে চেয়েছিলেন বিশ্বসেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। শুধু তাই নয়, প্রস্তাবিত পিপলস ব্যাংকের সমস্যা দূর করার চেষ্টা করছিলেন তিনি। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবীরের সঙ্গে এ নিয়ে তিনি বৈঠক করেন।
২০১৯ সালের ১৭ই ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় বেঙ্গল কমার্শিয়াল, সিটিজেনস ও পিপলস নামে নতুন তিনটি ব্যাংকের অনুমোদন দেয়া হয়। এর মধ্যে বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক চলতি বছরের মার্চে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করেছে। আর চূড়ান্ত লাইসেন্স পাওয়ার পর কার্যক্রম শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছে সিটিজেনস ব্যাংক।