রাজধানীর মগবাজার মোড়ে যাত্রীবাহী দুই বাসের চাপায় রাকিব (১৪) নামে এক কিশোর নিহত হয়েছে। সে বাসে বাসে হকারি করতো বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) বিকাল ৫টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক বিকাল সাড়ে ৫টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া পথচারী হারুন অর রশিদ জানান, মগবাজার মোড়ে গাজীপুরগামী আজমেরী পরিবহনের ৩টি বাস প্রতিযোগিতা করে চালাচ্ছিল। তখন সামনের দুটি বাসের মাঝে চাপা পড়ে ওই কিশোর। রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
তার সঙ্গে আসা লোকমান নামের আরেক কিশোর জানায়, আশপাশের লোকজন জানিয়েছে ওই কিশোর বাসে হকারি করে মাস্ক বিক্রি করতো। দুর্ঘটনার পর দুটি বাসই রেখে পালিয়ে গেছেন চালক ও হেলপাররা।
এর আগে রাজধানীতে ভাড়া নিয়ে তর্কাতর্কির পর এক যাত্রীকে বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়ার পর তার মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার নাম ইরফান আহমেদ। এই ঘটনায় সন্দেহভাজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। পুলিশ বাসটি জব্দ করার পাশাপাশি চালক ও তার সহকারীকেও থানায় নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে ওয়ারীর টিকাটুলির জয়কালী মন্দিরের সামনে সেই যাত্রীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়ার আগে কিল, ঘুষিও দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন নিহতের সঙ্গী।
আহত ইরফানকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে দুপুরের দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
বাসে ইরফানের সঙ্গে ছিলেন আব্দুল কাদের। তিনি জানান, সকালে ডেমরা থেকে নবাবপুরের কর্মস্থলে যেতে গ্রিনবাংলা পরিবহনে উঠেন তারা। টিকাটুলির জয়কালী মন্দিরের সামনে আসার পর ভাড়া নিয়ে ইরফানের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক হয় ভাড়া তুলতে থাকা সহকারীর।
এক পর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হলে ইরফানকে কিল, ঘুষি দিয়ে ধাক্কা দিয়ে বাস থেকে নিচে ফেলে দেয়া হয় বলে অভিযোগ করেন কাদের। বলেন, ‘গুরুতর অবস্থায় টিকাটুলি সালাউদ্দিন হাসপাতাল নিয়ে যাই। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে আসার পর চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।’
এই ঘটনায় বাসে চালকের সহকারী মোজাম্মেল হোসেনকে স্থানীয় লোকজন আটক করে পুলিশে দেয় বলেও জানান কাদের।
খুলনা গেজেট/ এস আই