কথায় কথায় আমরা একে অপরকে দু’আ করতে বলি। আমরাও দু’আ করে দ্রুত রোগ কিম্বা বিপদ-আপদ থেকে মুক্তির কথা প্রকাশ করি নানাভাবে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এই দোয়ার বিষয়টি আমাদের কাছে অনেকটা আনুষ্ঠানিকতায় পরিণত হয়েছে। এর ভিতরের গভীরতা ও কার্যকরণের তীব্রতা সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান খুবই সীমিত। হতাশায় চরমভাবে নিমজ্জিত হয়ে যখন কোনো কুলকিনারা পাইনা; তখনই আমরা দু’আর কথা ভাবি। অনেক সময় তুচ্ছ তাচ্ছিল্যও করে থাকি। অথচ দু’আ এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা মানষের ভাগ্যলিপিও পরিবর্তন করে দিতে পারে, যা অনেক প্রচেষ্টা দ্বারাও সম্ভব নয়।
একবার রাসুল পাক (সাঃ) একদল দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বললেন, তারা আল্লাহপাকের কাছে রহমত ও নিরাপত্তার দু’আ করে না কেন। আর দু’আ তো আল্লাহ ও বিশ্বাসীর মধ্যে নিবিড় কথপোকথন। মুমিন মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে যে, আসমান ও জমিনে রহমানের ইচ্ছা ও অভিপ্রায় ছাড়া কিছুই সংঘটিত হয় না। এমন কি কোনো রুগি আল্লাহ’র অভিপ্রায় ছাড়া সঠিক চিকিৎসাও পাবে না। পাবে না কঠিন বিপদের সময় মুক্তির সঠিক পথ।
এই দৃঢ় বিশ্বাস মুমিনদের অন্তরে এমন এক শক্তিশালী আস্থা সৃষ্টি করে, যার ফলে তার সকল ইচ্ছা ও অভিপ্রায় আল্লাহ’র কাছে সমর্পিত হয়। কারণ মুমিন জানে, আল্লাহকে ডাকলে আল্লাহ সাড়া দেন।
যেমন : “আর তোমাদের রব বলেছেন, তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমদের ডাকে সাড়া দেব।” ( সুরা গাফির, আয়াত-৬০)
আবার সুরা বাকারার ১৮৬ নং আয়াতে আল্লাহ বলেছেন,“আর আমার বান্দা যখন আমার সম্পর্কে জিজ্ঞেসা করে (বলে তাকে বলে দিন) নিশ্চয় আমি অতি নিকটে, আহবানকারী যখন আমাকে আহবান করে আমি তার আহবানে সাড়া দেই।”
আল্লাহ কোরানুল করিমে অনেক দু’আও বান্দাকে শিখিয়ে দিয়েছেন। আল্লাহ তাঁর উত্তম নামসমুহ নিয়ে ডাকতে বলেছেন। আর এই উত্তম নামসমূহের মধ্যে ‘ইসমে আজম’ নিহিত রয়েছে। অপরদিকে হাদিস শরীফে উল্লেখ করা হয়েছে ‘দু’আই এবাদত’। ফলে দু’আ ছাড়া আল্লাহ’র সঙ্গে সংযোগ স্থাপন সম্ভব নয়। আসুন আমরা আন্তরিকভাবে সেই সত্ত্বা আল্লাহ তায়ালার কাছে সমর্পিত হই।
(ফেসবুক ওয়াল থেকে)
খুলনা গেজেট/এনএম