নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে তার পরাজয়কে সরকারের পরাজয় হিসেবে দেখছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। তিনি বলেন, জনগণের ভালোবাসায় আমরা জয়ী। জনগণের প্রতি, মিডিয়ার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।
রোববার (১৬ জানুয়ারি) নাসিক নির্বাচনে বেসরকারি ফলাফলে পরাজিত হওয়ার খবরে নিজের প্রতিক্রিয়া জানাতে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।
তৈমূর আলম বলেন, ‘আমি ঘটনাগুলো আপনাদের জানিয়েছি। আমার সিদ্ধিরগঞ্জ থানা সমন্বয়ককে কাগজসহ গ্রেফতার করা হয়। তার মাধ্যমেই শুরু হয় এবং আমার লোকজন প্রতিদিনই গ্রেফতার হতে থাকে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আপনারা দেখবেন হেফাজতের মামলা দেয়া হয়েছে সকলকে। এদের মধ্যে হিন্দু লোকও আছে। এখন দেখা যায়, মুসলমানরা তো করেই হিন্দুরাও হেফাজত করে। আজ সকাল থেকে আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বন্দরের সমন্বয়ককে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমার চিফ এজেন্টের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে। এ অবস্থায় একটা মানুষ স্বতন্ত্র দাঁড়িয়ে কীভাবে ঠিক থাকতে পারে। তার পরেও জনগণ আমাকে সমর্থন দিয়েছে। আমি সকলকে ধন্যবাদ জানাই।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকার মেহমানদের অতিরঞ্জিত কথার পরে গ্রেফতার শুরু হয়েছে। জাহাঙ্গীর কবির নানককে যখন জিজ্ঞেস করা হয় তখন তিনি বলেছিলেন, ১২ ও ১৩ নং ওয়ার্ড তাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। ১৩ নং ওয়ার্ডে আমি থাকি, আমার ভাই তিনবারের কাউন্সিলর। আর ১২ নং ওয়ার্ড সরকারি এমপির ওয়ার্ড। আমি বললাম, সরকারই যদি তার এমপির কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ মনে করে তাহলে আমার কিছু করার নেই। আমার কোনো ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র নেই।’
তৈমূর আলম বলেন, ‘বেশ কিছু কেন্দ্রে ইভিএম ত্রুটিপূর্ণ ও স্লো ছিল। অনেক লোক ভোট দিতে পারেনি। ইভিএমের কারচুপির জন্য আমাদের পরাজয় বরণ করতে হয়েছে। আমি সকলকে ধন্যবাদ জানাই, যারা নির্বাচনে আমার পাশে থেকে সহযোগিতা করেছেন। আমার লোকজন বাড়িতে থাকতে পারেনি। এ টি এম কামালের মতো লোককে ঘেরাও করা হয়েছে গ্রেফতার করার জন্য।’
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আওয়ামী লীগের ডা: সেলিনা হায়াত আইভি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘তার বিষয়ে আগেও মন্তব্য করিনি এখনো করবো না। এটা খেলা হয়েছে সরকার বনাম জনগণ, সরকার বনাম তৈমূর আলম খন্দকার। আমি সিটি করপোরেশনের জন্য কী করেছি তা তাকে জিজ্ঞেস করেন। নারায়ণগঞ্জবাসী এগুলো জানে।’
খুলনা গেজেট/ টি আই