Edit Content
খুলনা, বাংলাদেশ
সোমবার । ২৫শে আগস্ট, ২০২৫ । ১০ই ভাদ্র, ১৪৩২

ই-পেপার

Edit Content
অজ্ঞাত চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ঠিকাদারের মামলা

স্কুলছাত্রী লামিয়াকে গুলিবর্ষণের ঘটনাটি রহস্যঘেরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

খুলনা মহানগরীর মিস্ত্রিপাড়া আরাফাত জামে মসজিদ এলাকায় বাড়ী এসে চাঁদা দাবি করায় অজ্ঞাত চার চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে আজ শনিবার (২৯ আগস্ট) মামলা করলেন ঠিকাদার ইউসুফ আলী। তবে স্কুলছাত্রী লামিয়াকে গুলিবর্ষণের রহস্যের জট খুলছে না। বিষয়টি পাশ কাটিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। আবার ঠিকাদারী কাজটি দাবি করা ব্যক্তিদের নামও প্রকাশ করছেন না গুলি বর্ষণকারী ঠিকাদার ইউসুফ আলী। এসব ধোঁয়াশা কাটাতে ঘটনার পিছনের ঘটনাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

প্রসঙ্গত্ব, শুক্রবার (২৮ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে ঠিকাদার শেখ মোঃ ইউসুফ আলীর করা গুলিতে বিদ্ধ হয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী শিশু লামিয়া খুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এঘটনায় জীবনের ঝুঁকিমুক্ত হলেও একটি পা হারানোর ঝুঁকি রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। গুলি বর্ষণের পর ব্যবহৃত পিস্তল, ১০ রাউন্ড গুলি ও দু’টি গুলির খোসা জব্দ করেছিল পুলিশ। আজ শনিবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে অজ্ঞাত চার চাঁদাবাজকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন ঠিকাদারা শেখ মোঃ ইউসুফ আলী।

এসব বিষয়ে তিনি খুলনা গেজেটকে বলেন, ‘বাড়ীতে এসে চাঁদা দাবিকৃত চার যুবককে আমি চিনি না; তাই অজ্ঞাতদের আসামী করে মামলা করেছি।’ কারা বিভিন্ন সময়ে আপনার কাছে ঠিকাদারী কাজটি দাবি করছিলেন? কারা বিভিন্ন সময়ে চাঁদা দাবি করছিল? শিশু লামিয়ার কি অবস্থা এখন? এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যস্ত আছেন বলে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে মোবাইল বন্ধ রাখেন তিনি।

খুলনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আশরাফুল আলম বলেন, লামিয়াকে গুলিবর্ষণে ব্যবহৃত অস্ত্রটি জব্দ রাখা হয়েছে। ওইঘটনায় ঠিকাদার শেখ ইউসুফ আলী বাদী হয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগে অজ্ঞাত চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন (যার নং-৩৭, ২৯-৮-২০২০ইং)। ঘটনাটি একটু গভীরেই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এখনো কাউকে আটক করা যায়নি।

স্থানীয় বাসিন্দা একজন রাজনীতিকের অভিযোগ, নিষ্পাপ শিশু লামিয়াকে গুলি বর্ষণের ঘটনাটি রহস্যজনকই থেকে গেল। শ্যুটার ইউসুফ আলীর কাছে কারা ঠিকাদারী কাজটি দাবি করেছিল, তিনি কেন- সেটা এখনো প্রকাশ করছেন না! বাড়ীতে নিয়ে চাঁদাবাজদের বসতে দিয়েছেন- অথচ তিনি চেনেন না, এটা অবিশ্বাস্য।

পুলিশের একাধিক সূত্র জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তাতে চাঁদাবাজদের স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না। তাদের ছবি অস্পষ্ট। সে কারণেই এখনো চাঁদাবাজদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে, ঠিকাদার শেখ ইউসুফ আলীর বক্তব্যের মধ্যে অসঙ্গতি রয়েছে বলে অভিযোগ সূত্রটির।

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন স্কুল ছাত্রী লামিয়া নগরীর আরাফাত জামে মসজিদ এলাকার বাসিন্দা মোঃ জামাল হোসেনের মেয়ে। সে নগরীর ইকবালনগর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। কোমলমতি শিশু লামিয়া গুলিবিদ্ধের ঘটনাটি এলাকাবাসী ও স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মর্মাহত করেছে।

খুলনা গেজেট/এআইএন




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন