সপ্তাহে ৬ দিন শ্রমিকদের কাজের ব্যবস্থা, বিড়ির ওপর শুল্ক কমানো, বিড়ির ওপর অর্পিত ১০ শতাংশ অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার, বহুজাতিক কোম্পানির ষড়যন্ত্র বন্ধ ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে আইনি প্রক্রিয়ায় নকলবাজদের উচ্ছেদের দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন করেছে বিড়ি শ্রমিকরা।
বুধবার বেলা ১১ টায় খুলনা প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে খুলনা জেলা বিড়ি শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ।
খুলনা জেলা বিড়ি শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক আব্দুস সালাম মুন্সির সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিড়ি সংগ্রাম পরিষদের কেন্দ্রিয় সভাপতি এম কে বাঙ্গালী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক আরিফ হোসেন। মানববন্ধনে শত শত নারী ও পুরুষ বিড়ি শ্রমিক অংশগ্রহণ করেন।
বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার পর এদেশের সাধারণ মানুষ ও অসহায় শ্রমিকদের কথা বিবেচনা করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিড়ি শিল্পকে শুল্কমুক্ত ঘোষণা করেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালের পর দৃশ্যপট পাল্টে যায় পুরোপুরি পাল্টে যায়। শুরু হয় অসহায় শ্রমিক ও দেশীয় শিল্পের বিরুদ্ধে ঘড়যন্ত্র ও বৈষম্যের নতুন ফাঁদ। ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানি এদেশের কিছু দুর্নীতিগ্রস্থ আমলাকে ব্যবহার করে বিড়ির উপর চাপিয়ে দেয় মাত্রাতিরিক্ত করের বোঝা। ফলে করের বোঝা সহ্য করতে না পেরে বিড়ির মালিকরা কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হয়। কারখানা বন্ধ হওয়ায় কর্ম হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েছে বিড়ি শ্রমিকরা। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে বিড়িকে কুটির শিল্প হিসেবে ঘোষণা দিয়ে সুরক্ষা দিচ্ছে।
দরিদ্র মানুষের কর্মসংস্থানের দিক বিবেচনা করে নানাবিধ সুবিধা দিচ্ছে। ভারতে বিড়ি শ্রমিকদের ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে রয়েছে বৃত্তির ব্যবস্থা, চিকিৎসার জন্য রয়েছে পৃথক হাসপাতাল, সরকারের পক্ষ থেকে রয়েছে মাসিক ভাতার ব্যবস্থা, বিড়ি মালিক ও শ্রমিকদের জন্য রয়েছে বিশেষ লোনের ব্যবস্থা এবং ১০ রুপির বিনিময়ে বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা। কিন্তু বাংলাদেশে বিড়ি শিল্প ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী অবস্থান নেওয়া হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম