পাইকগাছায় চরম অব্যবস্থাপনার মধ্যে দিয়ে শুরু হলো ১২-১৭ বয়সী শিক্ষার্থীদের কোভিড (ফাইজার) টিকাদান কার্যক্রমের।
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের আয়োজনে সোমবার(১০ জানুয়ারি) সকালে লোনাপানি কেন্দ্র হল রুমে কার্যক্রমের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নানা অব্যবস্থানায় টিকা নিতে আসা শিক্ষার্থী, শিক্ষকসহ অভিভাবকরা অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
প্রথম দিনে ৬টি বুথ থেকে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১ হাজার ৮৯০ জন ছেলে ও ২ হাজার ১৬০জন মেয়েসহ মোট ৪ হাজার ৫০ জন শিক্ষার্থীকে টিকা প্রদান করা হয়।
টিকা নিতে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়ানো অন্তত ১২ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ্ হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। যদিও কর্তৃপক্ষ বলছেন, টিকা নেওয়ার আগেই তারা ভীত সন্ত্রস্ত কিংবা রোদে দাঁড়িয়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে।
এর আগে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ উপজেলাব্যাপী মাইকিং করে প্রচার করা হয় যে, ১০ জানুয়ারী থেকে পাইকগাছা উপজেলার ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের কোভিড (ফাইজার) টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হবে। এজন্য উপজেলার প্রতিটি স্কুল থেকে শিক্ষার্থীদের স্ব-স্ব শিক্ষকবৃন্দের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের দুই সেট জন্ম সনদ নম্বরসহ নামের তালিকা অথবা জন্মসনদের ফটোকপিসহ পাইকগাছা লোনাপানি কেন্দ্রে উপস্থিত হতে বলা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প.কর্মকর্তা ডা: নীতিশ চন্দ্র গোলদার জানান, সোমবার থেকে শুরু হয়ে কার্যক্রম চলবে আগামী ৪ দিন ১৩ জানুয়ারী পর্যন্ত।
এদিকে উদ্বোধনী দিনে গোটা কার্যক্রম নিয়ে হ-য-ব-র-ল অবস্থায় শিক্ষক ও অভিভাবকবৃন্দ অসন্তোষ ও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তাদের মতে, পৃথক দিনে স্ব-স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টিকাদান কর্মসূচীর আয়োজন হলে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে কার্যক্রম শতভাগ বাস্তবায়ন করা সম্ভব।
সকালে টিকাকেন্দ্র ও সার্বিক প্রস্তুতি পরিদর্শনসহ উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: নীতিশ চন্দ্র গোলদার, লোনা পানি কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড.মো: লতিফুল ইসলাম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন, উপজেলা সেনিট্যারী ও নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা উদয় কুমার মন্ডলসহ অন্যান্যরা।