এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের নির্ধারিত দরে এলপি গ্যাস মিলছে না খুলনার অনেক স্থানে। কোম্পানী ভেদে প্রতিটি ১২ কেজি গ্যাসের বোতল ১২শ’টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
নগরীর কয়েকটি খুচরা দোকান ঘুরে জানা গেছে, ১২ কেজির প্রতিটি সিলিন্ডার বসুন্ধরা, ক্লীনহীট ও ওমেরা ১২শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ গত ৩ জানুয়ারি বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন প্রতিটি ১২ কেজির সিলিন্ডারের মূল্য ১ হাজার ১শ’ ৭৮ টাকায় বিক্রির প্রজ্ঞাপণ জারি করে।
টুটপাড়া তালতলা হাসপাতাল সংলগ্ন গ্যাস বিক্রেতা মো: সেন্টু ১২ কেজির প্রতিটি সিলিন্ডার ১২শ টাকায় বিক্রি করছেন। কমিশনের নির্ধারিত দরের থেকে বেশী বিক্রির করার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বেশী দরে কিনতে হচ্ছে। তিন হাত বদলের পর গ্যাস পান তিনি।
নাম প্রকাশ করার না শর্তে পশ্চিম বানিয়াখামার এলাকার এক ব্যবসায়ী বলেন, কোম্পানী, ডিপো ও ডিলার এ তিনটি স্তর দাম নির্ধারণ করার পর আমাদের একটি দাম রাখতে হয়। কমিশন যে রেট বেঁধে দিয়েছে সে দরে গ্যাস বিক্রি করতে গেলে আমাদের কাছে কিছু থাকে না। তাই নির্ধারিত দরের থেকে বেশী দরে বিক্রি করতে হচ্ছে তাকে।
বেনী বাবু রোডের ব্যবসায়ী মুকুল বসুন্ধরা, ওমেরা ও ক্লীনহীট ১২ কেজির প্রতিটি সিলিন্ডার সার্ভিস চার্জসহ ১২শ’ ৩০ টাকায় বিক্রি করছেন। এত দামে বিক্রি করার কথা বললে উত্তরে তিনি জানান, পূর্বের দরের মাল ঘরে রয়েছে সেগুলো বিক্রি করছেন। তবে দাম এখনও কার্যকর হয়নি বলে তিনি আরও জানান।
আবুল মুহিত নামে এক ক্রেতা অভিযোগ করে বলেন, গত দু’বছর আগে খুলনার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। করোনার প্রকোপ বাড়তে থাকায় চাকুরী হারান তিনি। ছোটাখাট ব্যবসা করছেন। যা আয় করেন তাতে নুন আনতে পান্তা ফুরায়। দ্রব্য মূল্যের উর্ধগতিতে নাভিশ্বাস। কোন পণ্যের দাম বাড়ালে সাথে সাথেই বেড়ে যায়। কিন্তু কমালে কোন কিছুর মূল্য সহজে কমতে চায়না। নির্ধারিত দামের থেকে দোকানে গ্যাসের দাম বেশী থাকায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।