ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সমস্যা জড়িত বিভাগসমূহের সমাধান না করে অনুমোদনহীন নতুন বিভাগে ছাত্র ভর্তির প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়ন সংসদ। রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানায় সংগঠনটি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অনুমোদন ছাড়াই ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে গণ-যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হচ্ছে। কিন্তু নতুন এই বিভাগের জন্য শ্রেণিকক্ষ, শিক্ষক কিছুই নেই। এছাড়া গত ৫ বছরে ১১টি নতুন বিভাগ চালু করা হলেও বিভাগগুলোতে শ্রেণিকক্ষ সংকট, প্রয়োজনীয় শিক্ষক সংকট, সেমিনার লাইব্রেরি ও ল্যাবসহ নানাবিধ সংকট রয়েছে। বিভাগগুলোর পক্ষ থেকে শিক্ষক নিয়োগের চাহিদাসহ অন্যান্য সমস্যার বিষয়ে কোন উদ্যোগ নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এমন পরিস্থিতিতে অনুমোদনহীন নতুন বিভাগে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ ও বিভিন্ন সংকটের সম্মুখীন ১১টি বিভাগসহ অন্যান্য বিভাগের বিদ্যমান সংকট নিরসেরন দাবি জানাচ্ছে ছাত্র ইউনিয়ন ইবি সংসদ।
বিবৃতিতে আরও বলা হয় অনুমোদহীন ও কোনো ধরণের অবকাঠামোগত সুবিধা নিশ্চিত না করে প্রশাসনের নতুন বিভাগে শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়টি অসৎ উদেশ্য প্রণীত ও সন্দেহজনক। এর আগের ভিসির সময়ে খোলা এমন ১১ টি বিভাগে বর্তমানে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বিদ্যামান সংকট নিরসন না করে নতুন বিভাগ চালু ও ছাত্র ভর্তির বিষয়টি কোনোভাবেই সমর্থন যোগ্য নয়। এর আগে এমন নতুন বিভাগ খুলে যোগ্যতা সম্পন্নদের বাদ দিয়ে দলীয় বিবেচনায় ও পছন্দ মতো ব্যক্তিদের শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সেই বিভাগগুলোয় শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়োগ বাণিজ্যে জড়িত কয়েকজনের এখনও বিচারও হয়নি।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ‘প্রয়োজনীয় শিক্ষক শ্রেণিকক্ষ, সেমিনার লাইব্রেরি ও ল্যাবসহ অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিত না করে নতুন বিভাগ খোলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান নষ্ট হচ্ছে। এতে শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ আয় বাড়ছে,কিছু মানুষের চাকরি হচ্ছে আর নিয়োগ বাণিজ্যে পকেট ভরছে।
তাই আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান রাখছি বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে যে বিভাগগুলো রয়েছে সেগুলোর শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে প্রয়োজনী সুবিধা নিশ্চিত করার যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করুন। আমরা দেখেছি ২০২১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা খাতে মাত্র ৬৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আরও আশ্চর্যজনক হচ্ছে ৬৫ লাখ টাকা খরচ হলেও কোনো প্রকাশনা বের হয়নি। দেশের প্রাচীনতম একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার অবস্থার এমন নাজুক পরিস্থিতি রেখে নতুন বিভাগ চালু করা প্রশাসনের অবিবেচক কর্মকাণ্ডের দৃষ্টান্ত। তাই এমন সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার জন্য আবারও দাবি জানাচ্ছি’।
খুলনা গেজেট/ টি আই