বাগেরহাটে দুই দিনব্যাপী শীতকালীন পিঠা উৎসব শুরু হয়েছে । গ্রেটার ইউনিটি ফর রিয়্যালিটি (গুড়) নামের একটি সংগঠনের উদ্যোগে শুক্রবার বিকেলে বাগেরহাট শহরের প্রেসক্লাব ভবনের তিনতলায় এই পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান।
এসময়, বাগেরহাট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফরাজী বেনজীর আহম্মেদ, জেলা সমবায় কর্মকর্তা আনিসুর রহমান, প্রেস ক্লাবের সভাপতি নিহার রঞ্জন সাহা,সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিজিয়া পারভীন, খানজাহান আলী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ খন্দকার আসিফ উদ্দিন রাখি, বাগেরহাট ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আহাদ উদ্দিন হায়দার এবং উদ্যোক্তা গ্রুপ ডু ইট ইয়োর সেলফ (ডিআইওয়াই) এর অ্যাডমিন মাসুমা রুনাসহ নারী উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শনিবার রাতে এই পিঠা উৎসব শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তরা গ্রাম বাংলার ঐহিত্যবাহী শতাধীক পিঠা নিয়ে দুই দিন ব্যাপি উৎসবে অংশ নিয়েছেন। গ্রামবাংলার হারিয়ে যেতে বসা হাতে বানানো নানা ধরনের সুস্বাধু পিঠা স্থান পেয়েছে এখানে। এর মধ্যে সেমাই পিঠা, খেজুরের রসে ভেজানো পিঠা, ভাপা কুলি, সেতু কুলি, চিতাই, পাঠিশাপটা, শিয়াই ও হাঁসের মাংস, রসের পায়েস, নারকেলের সন্দেস উল্লেখযোগ্য।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, বাঙ্গালী জাতির ঐতিহ্যবহন করে গ্রাম বাংলার পিঠা। যৌথ পরিবারে মেয়ে জামাই নিয়ে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসলে আত্মীয় স্বজন সবাই মিলে পিঠা তৈরি করত। তখন বাড়িতে এক ধরনের উৎসবের আমেজ তৈরি হত। তখনকার গ্রাম বাংলার মা চাচীদের হাতে বানানো পিঠা যারা এখন দেখেননি তারা এর ফ্লেবারটা উপলব্দি করতে পারবেন না। গ্রাম বাংলার হারিয়ে যেতে বসা পিঠা নিয়ে যারা এই উৎসবে অংশ নিয়েছেন তাদের দেখে ভাল লাগল। শহরে বসবাস করা মানুষের কর্মব্যস্ততা থাকে যার কারনে পিঠা বানানো তাদের হয়ে ওঠে না। হারিয়ে যেতে বসা গ্রাম বাংলার পিঠা তৈরি করে শহরের পরিবেশে হাজির করার জন্য নারী উদ্যোক্তাদের অভিনন্দন জানান এই কর্মকর্তা।