বাগেরহাটের সদর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের রনজিৎপুর গ্রামের উপরদিয়ে প্রবাহিত যৌখালীনদী হতে অবৈধভাবে স্যালো-ইঞ্জিন দিয়ে ধারাবহিক ভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। ভাঙ্গনের মুখে রনজিৎপুর আশ্রায়নের বেশ কয়েকটি সরকারী ব্যরাক ও বিপুল পরিমাণের চাষাবাদের জমি। তবে রহস্যজনকভাবে প্রশাসন নিরব রয়েছে।
সদর উপজেলার রনজিৎপুর গ্রামে টাটেরহাট ব্রীজ হতে ১০০ গজ পূর্ব দিকে প্রকাশ্য দিবালোকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের এই মহোৎসব চলছে।
সরেজমিনে ঘুরে ও স্থানীয়দের থেকে প্রাপ্ত তথ্য সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় একটি প্রভাবশালী কুচক্রি মহল দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের স্থানীয় এক নেতার ছত্রছায়ায় একই দলের সহযোগী সংগঠনের রনজিৎপুর গ্রামের জৈনক এক নেতা দৈর্ঘদিন ধরে যৌখালী নদীতে টাটেরহাট ব্রীজ হতে পোলেরহাট ব্রীজ পর্যন্ত স্থান হতে অবৈধভাবে বালু তুলে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নিকট বিক্রিকরে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। যার ফলে হুমকির মুখে রনজিৎপুর আশ্রায়ন প্রকল্প,উত্তর খানপুর আশ্রায়ন প্রকল্প, চুড়মনি আশ্রায়ন প্রকল্পসহ প্রায় এক হাজার হেক্টর চাষাবাদের জমি।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, প্রতি বর্গফুট বালু স্থান ভেদে ৮-১০ দরে বিক্রি করছে চক্রটি। এ পর্যন্ত কয়েক লাখ বর্গফুট বালি উত্তোলন করে বিক্রি করেছে। এই চক্রে রয়েছে একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তি। যার কারণে ভয়ে মুখ খোলেননা স্থানীয়রা । তারা আরো জানান, কখনও যদি কেউ উপজেলা প্রশাসনকে জানান, তবে উপজেলা প্রশাসন স্থানীয় গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে বালু উত্তোলন বন্ধ করে । কিছু দিন পর আবার পূর্বের রূপে ফিরে আসে । এ পর্যন্ত কখনও অভিযান চালানো হয়নি ।
টাটেরহাট এলাকার ওই স্যালো-ইঞ্জিন চালিত ড্রেজার চালক রফিকুল ইসলাম বলেন, সে দিনে ৬০০ টাকা বেতনে কাজ করে। ড্রেজার মালিক হলেন রনজিৎপুর গ্রামের মজিদের পুত্র হাকিম। তিনি আরো জানান, বেশকিছু দিন ধরে এই নদী থেকে তারা বালু উঠিয়ে বিভিন্ন মানুষের বাড়ি,বাগানসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি তুলেছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
এব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাঃ মোছাব্বেরুল ইসলাম বলেন, বালু উত্তোলনের বিষয়টি আমার জানা ছিলনা, আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম। এব্যাপারে অতি দ্রত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খুলনা গেজেট/ টি আই