মাদক মামলায় খুলনার ফৌজদারী আদালত ও জেলা কারাগার হিমশিম খাচ্ছে। বছরের পর বছর মামলাগুলো নিষ্পত্তি হচ্ছে না। ফৌজদারী আদালতগুলোতে ১১ হাজার মাদক মামলা বিচারাধীন। যা জেলার মোট মামলার ২৫ শতাংশ। জেলা জজ শীপে শীর্ষে রয়েছে মাদক মামলা।
ডিসেম্বরে জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ ও প্রচারণা কমিটির সভায় উল্লেখ করা হয়, খুলনায় ১১ হাজার ৯৮টি মদক মামলা বিচারাধীন রয়েছে। কেএমপি, জেলা পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এসব মামলা দায়ের করে। জেলা ও দায়রা জজ, জেলা ও দায়রা জজ-২, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও আমলী আদালতে এসব মামলা বিচারাধীন। উদ্ধারকৃত মাদক সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে গাঁজা, গাঁজা গাছ, ইয়াবা, তরল ফেন্সিডিল, কোডিনের মিশ্রণ ফেন্সিডিল, চোলাই মদ, বিদেশী মদ, এ্যালকোহল, জাওয়া, রেক্টিফাই স্পিরিট ও ডায়াজিপাম ইনজেকশন ইত্যাদি।
সভায় অবৈধ মাদক ব্যবসা নির্মূল করার জন্য মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আরও অধিক অভিযান পরিচালনা করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি ও খালাস হওয়া মামলা আপিল করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
অন্যান্য সূত্রে বলেছে, সাতক্ষীরা, যশোর ও বেনাপোল থেকে ইয়াবা, গাঁজা, ফেন্সিডিল ও এ্যালকোহল আসছে। মাদক ব্যবসায়ীরা ঘন ঘন আবাসস্থল পরিবর্তন করায় তাদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে না।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, খুলনা ‘ক’ সার্কেলের পরিদর্শক হাওলাদার মোঃ সিরাজুল ইসলাম তথ্য দিয়েছেন করোনাকালীন সময়ে আদালতের বিচার কার্যক্রম বন্ধ থাকায় মামলার জট পড়েছে। পাশাপাশি স্থানীয়রা সাক্ষী দিতে সাহস পায়না। আসামীরা ঘন ঘন আবাসস্থল পরিবর্তন করায় তাদেরও খুঁজে পাওয়া যায় না। ফলে মামলা নিষ্পত্তিতে বিলম্ব হচ্ছে।
জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর পাবলিক প্রসিকিউটর নব কুমার চক্রবর্তীর অভিমত সাক্ষী ও বাদীর অনুপস্থিতিতে মামলা নিষ্পত্তি হচ্ছে না। তিনি তথ্য দিয়েছেন এ আদালতে মাদক মামলার মধ্যে ইয়াবা ও ফেন্সিডিল উদ্ধারের পরিমান বেশি।
খুলনার জিপি আইয়ুব আলী শেখ আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে এক সামাজিক অনুষ্ঠনে উল্লেখ করেন, জজ শীপের অধীনে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৪০ হাজারেরও বেশি।
খুলনা গেজেট/ টি আই