ফুলতলা উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তরে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য থাকায় প্রশাসনিক ও মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ অরুন কান্তি মন্ডল ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে পদোন্নতি নিয়ে জেলা প্রাণি সম্পদ কার্যালয়ে যোগদান করেন এবং ভেটেরিনারী সার্জন ডাঃ তরিকুল ইসলাম নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে বদলি হয়ে পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলায় যোগদান করেন।
এছাড়াও প্রাণি সম্পদ দপ্তরের অত্যাধিক গুরুত্বপূর্ন পদ ড্রেসার গত ১৩ মাস আগে বদলি হয়ে অন্যত্র চলে গেলেও দীর্ঘদিন ধরেও এ পদটি খালি রয়েছে।
অন্যদিকে উপ-সহকারী প্রাণি সম্প্রসারণ কর্মকর্তার পদটিও খালি ও অফিস সহায়ক লক্ষণ মল্লিক ডেপুটেশনে দৌলতপুর প্রাণি সম্পদ দপ্তরে রয়েছেন।
সব মিলিয়ে লোকবল সঙ্কটের কারণে পোল্টি ও গরু মোটাতাজাকরণ সমৃদ্ধ এ এলাকার খামারীরা সেবা না পেয়ে ক্ষতির মুখে পড়ছে। করোনার সময়ে খামারিরা প্রায় শেষ। বিশেষ সার্জনদের পরামর্শে খামারিদের এখন ঘুরে দাড়ানোর সময়।
আবার বাজারে মাংস, দুধ, ডিম ও মাছের উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে খামারিদের সেবা দোরগোড়ায় পৌছে দিতে পারলে অধিকাংশ খামারিরা ক্ষতি পুষিয়ে টিকে থাকতে পারবে বলে পোল্ট্রি খামারির মালিক সরদার হাফিজুর রহমান মিন্টু জানিয়েছেন।
বসুরাবাদের গরু খামারি বাবলু বিশ্বাস বলেন, কয়েকবার গাভীর স্বাস্থ্য সেবা পেতে পশু হাসপাতালে আসি। কিন্তু যথাযথ সেবা না পেয়ে পল্লী চিকিৎসকের স্মরনাপন্ন হতে হয়েছে। যে কারণে অনেক অর্থ খরচ হয়েছে। আবার সময়মতো চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছি।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ অরুন কান্তি মন্ডল বলেন, গত কিছুদিন পূর্বে ফুলতলা অফিস থেকে পদন্নোতি নিয়ে জেলায় যোগদান করি। এখানে এসেই জেলার ১১৪টি পদের বিপরীতে ডাক্তার, নার্স ও মাঠকর্মীসহ ৫৬টি শূন্য পদের জন্য মহা-পরিচালক বরাবর আবেদন করেছি। আশা করছি অতি শীঘ্রই শূন্য পদ গুলো পূরণ হবে।
খুলনা গেজেট/ এস আই