ডুমুরিয়ায় নদীর চরে সরকারি জায়গায় গড়ে উঠেছে অবৈধ ইটভাটা। পুড়ছে কাঠ, হচ্ছে পরিবেশ দূষণ। ডুমুরিয়ায় নদীর চর ভরা করা সরকারি জায়গায় গড়ে তোলা হয়েছে অবৈধ মিনি ইটভাটা। লাইসেন্স ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই গড়ে উঠেছে এই ইটভাটা। তারপরও যেনো বিষয়টি দেখার কেউ নেই। এমন অভিযোগ স্থানীয় সর্বসাধারণের।
স্থানীয় প্রশাসনের চোঁখ ফাঁকি চলছে রমরমাভাবে অবৈধ ইটভাটা। ইট পোড়াতে ব্যবহার করা হচ্ছে বিপুল পরিমাণ কাঠ। আর কাঠ পোড়ানোর কালো ধোঁয়ায় পরিবেশ মারাত্বক হুমকির মুখে পড়ছে।
ডুমুরিয়া ও পাইকগাছার বিভিন্ন এলাকা থেকে কাঠ সংগ্রহ করে ভাটা চত্ত্বরে জড়ো করে রাখা হয়েছে। খেজুর ও নারিকেল গাছের গুড়িসহ নানা শ্রেণির বনজ বৃক্ষের মজুদ। আর বন উজাড় করে অসাধু এসকল ব্যবসায়িরা রমরমা ভাবে অব্যহত রেখেছেন অবৈধ ইটভাটার সকল কার্যক্রম।
এলাকা ঘুরে জানা গেছে, পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি এলাকার বাসিন্দা অতুল পাল বৈধ কোন কাগজ পত্র ছাড়াই অবৈধ ভাবে ডুমুরিয়া উপজেলার মাগুরখালী ইউনিয়নের তালতলা নদীর চর এলাকায় এ ইটভাটা গড়ে তুলেছেন।
এদিকে বৈধ কোন দালিলিক প্রমাণ না থাকলেও ইটের ভাটা নির্মাণ এবং পরিচালনার বিষয়টি সাধারণ মানুষের মাঝে নানা কৌতূহল সৃষ্টি হচ্ছে। কাঠ পোড়ানোর কালো ধোয়ায় জনবসতিসহ ওই এলাকার পরিবেশ রয়েছে মারাত্বক হুমকির মুখে।
ইটভাটার কালো ধোঁয়ায় কবলে সাধারণ মানুষের সর্দি, কাশি, হাপানী, শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ। ফলে নানা শংঙ্কা দেখা দিয়েছে তাদের মাঝে।
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সঞ্চয় সানা বলেন,বে-আইনীভাবে পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি এলাকার জনৈক অতুল পাল ডুমুরিয়ার মাগুরখালি এলাকায় এসে নদীর চর ভরাট করা সরকারি জায়গা দখল করে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে ইটভাটা পরিচালনা করে আসছে। এতে লোকালয়ের সাধারণ মানুষ রয়েছে চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে। তিনি সহ এলাকাবাসী প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এদিকে ভাটা মালিক অতুল পাল অবৈধ ইটভাটার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, জমির মালিকদের কাছ থেকে লীজ নিয়ে ইটভাটা পরিচালনা করে আসছেন।
ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ আবদুল ওয়াদুদ জানান, সরকারি জায়গায় গড়ে ওঠা সকল অবৈধ ইটভাটায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খুলনা গেজেট/ এস আই