মোংলায় মেঘলা আকাশ, কুয়াশা ও বাতাসে কনকনে শীত জেঁকে বসেছে। রবিবার (২ জানুয়ারি) সকাল থেকে মোংলা বন্দরসহ সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় জুড়ে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে, ফলে সূর্যেরও দেখা নেই। সেই সাথে কুয়াশা ও বাতাসে শীতের প্রকোপ বেড়েছে। শীতে এখানকার জনজীবন জুবুথুবু হয়ে পড়েছে।
কুয়াশায় মোংলার মহাসড়কে যানবাহন ও বন্দরের পশুর চ্যানেলে নৌযান চলাচল ও পণ্য পরিবহণ বিঘ্নিত হচ্ছে। কুয়াশায় নদী ও সড়ক পথে যান চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
এদিকে হঠাৎ জেঁকে বসা প্রচন্ড শীতে চরম বেকায়দায় পড়েছেন সাধারণ খেটে খাওয়া দিনমজুরেরা। ফেরিঘাট ও মামার ঘাটের দিনমজুর শ্রমিক ইউনুস আলী খাঁন, জাহাঙ্গীর মোল্লা, দেলোয়ার হোসেন ও সামছুল হক বলেন, সকাল থেকে আকাশ মেঘলা, কুয়াশা ও বাতাসে খুব শীত। আমরা কোন কাজকাম করতে পারছিনা। শীতে আমাদের অবস্থা খুব খারাপ।
কুয়াশার নদীতে নৌযান চলাচলে দুর্ঘটনার ঝুঁকির আশঙ্কায় পর্যটনবাহী লঞ্চ, জালিবোট ও ট্রলারগুলো ঘাটে অলস বেঁধে রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। এতে ক্ষতির সম্মুখীন পর্যটন শিল্পও।
পর্যটকবাহী জালিবোট চালক মোঃ আলামিন বলেন, কুয়াশায় বিভিন্ন জায়গা থেকে গাড়ী (বাস) আসতে পারছেনা, ফলে পর্যটকও নেই। এছাড়া নদীতে কুয়াশায় কিছু দেখা যাচ্ছেনা, নদীতে গেলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি রয়েছে তাই আমরা ঘাটে বোট রেখে অলস সময় পাড় করছি।
মুলত মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করায় আকাশ মেঘলার পাশাপাশি কুয়াশা ও বাতাসে শীতের প্রকোপ বেড়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার বলেন, হঠাৎ করে শীতের প্রকোপ বেড়েছে। তাই শীতার্তদের মাঝে নতুন করে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে। এর আগেও দরিদ্রদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। নদীর পাড়ের শীতার্ত পরিবারে কম্বল বিতরণ করার কথা জানিয়েছেন তিনি।
খুলনা গেজেট/ এস আই