কয়েক ঘণ্টা বাদে নতুন সূর্য উঁকি দেবে পুরাতনের গ্লানি ভুলে। হাসি-কান্না, আনন্দ-বেদনায় কেটে গেলো আরও একটি বছর। বিদায় ২০২১, স্বাগত ২০২২। ৩৬৫ দিনের এই হিসেব-নিকেশ চলবে অনন্তকাল। শুভ নববর্ষ।
কথায় বলে, ‘যায় দিন ভালো; আসে দিন মন্দ’। যেদিন গেছে; তা হোক সফলতার কিংবা ব্যর্থতার। অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামী দিনগুলো আলোকিত হবে নির্ভুলভাবে। অনেক উত্থান-পতন পেরিয়ে অতীতের খাতায় জমা হচ্ছে ২০২১ সাল। বিগত সময়ের সব দুঃখ, কষ্ট, হতাশা, গ্লানি ভুলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশও বরণ করে নিচ্ছে ২০২২ সালকে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন, মুজিব শতবর্ষ উদযাপন, করোনা মহামারিসহ নানা কারণে আলোচিত-সমালোচিত ২০২১ বিদায় নিচ্ছে। পাশাপাশি পদ্মা সেতু, মেট্রো রেলের মতো প্রকল্প চালু হওয়াসহ নানা কারণে ২০২২ সাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বছর। নতুন বছরে অগ্রগতির পথে সব জটিলতা দূর হবে—এটাই সবার প্রত্যাশা। মহামারির ধাক্কা সামলে নিয়ে বাংলাদেশ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাক।
রাজনৈতিক যোগ-বিয়োগ, ধর্মীয় সম্প্রীতি-সহিংসতা, আন্তর্জাতিক শুভ-মন্দ দৃষ্টি বারবার হোঁচট খেলেও আবারও উঠে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। বিপদসংকুল পথেই দীপ্ত পায়ে হেঁটেছে। সংস্কৃতির ওপর থাবা আসলেও থমকে যায়নি দেশ।
বিদায়ী বছরের পূর্ব মুহূর্তে চলে সালতামামির আয়োজন। হিসেব-নিকেশ, চুলচেরা বিশ্লেষণ চলে মাসজুড়ে। যা কিছু ঘটেছে, তা আমাদের চোখের সামনেই। চোখ বুজলেই তা দেখতে পাই। তবুও স্মরণ করিয়ে দেওয়া, একটু আলোড়িত করা।
কবির ভাষায়, ‘রূপ রস ও গন্ধময়,/ পৃথিবী হতে বিদায় লয়,/ পুরাতন বর্ষ শেষ হয়।’ পুরাতনকে হাসি মুখেই বিদায় দিতে প্রস্তুত দেশ। প্রস্তুত শেষ রজনী উদযাপনে। স্বাগত জানাবো নতুন সূর্যকে। বাংলার সর্বস্তরের মানুষের জন্য শুভময় সফলতম বছর আসুক- এ প্রার্থনা করবে সব ধর্মের মানুষ।
সবশেষেও বলতে হয়, ‘মুকুলিত সব আশা,/ স্নেহ, প্রেম, ভালবাসা,/ জীবনে চির স্মৃতি হয়ে রয়।… পুরাতন বর্ষ বিদায় লয়।/নববর্ষের আগমন হয়।’ সব আশা-স্নেহ-ভালোবাসা স্মৃতি হয়ে থাকুক। আগামী আসুক পুষ্পশোভিত হয়ে। প্রজ্বলিত সূর্যের আলোকচ্ছটায় আলোকিত হোক বিশ্ব। বিশ্বের যাবতীয় মানুষের কল্যাণ হোক। বাংলাদেশ উত্তরোত্তর সফলতার দিকে এগিয়ে যাক।
খুলনা গেজেট/ টি আই