খুলনা, বাংলাদেশ | ৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ভারতের সাথে বন্দি বিনিময় চুক্তির ভিত্তিতে সরকার শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে : চিফ প্রসিকিউটর
  জুলাই-আগস্ট গণহত্যার মামলায় আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ ১৩ জনের শুনানি চলছে
  শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলার তদন্ত শেষ করা ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর শপথ শুক্রবার, ছুটিতে ইমান আলী

গেজেট ডেস্ক

নতুন প্রধান বিচারপতি নিয়োগের পর ছুটিতে গেছেন আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী। তবে কতদিনের জন্য তিনি ছুটিতে থাকবেন সে বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট থেকে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে তাকে এ পদে নিয়োগ দেন। শুক্রবার বিকেলে বঙ্গভবনের দরবার হলে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ তাকে শপথ পড়াবেন।

আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী চাকরিবিধি অনুযায়ী- ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর অবসরে যাওয়ার কথা রয়েছে। অবশ্য জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘনের বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী প্রধান বিচারপতি নিয়োগের এখতিয়ার রাষ্ট্রপতির। এখানে আইন লঙ্ঘন ও জ্যেষ্ঠতার কোনো বিষয় নেই।’

জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন (সুপারসিড) করে উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগ নতুন কিছু নয়। সংবিধানই রাষ্ট্রপতিকে সুপারসিড করে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষমতা দিয়েছে। গত এক দশকে আপিল বিভাগে বিচারপতি নিয়োগে সুপারসিডের একাধিক ঘটনা ঘটেছে। ২০১১ সালে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হলে আপিল বিভাগের দুই বিচারপতি ছুটিতে যান। তারা হলেন- বিচারপতি মো. আব্দুল মতিন ও বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমান। এমনকি রাষ্ট্রপতি বিচারপতি নিয়োগ দেওয়ার পরেও প্রধান বিচারপতি তাদের শপথ পড়াননি এমন ঘটনাও ঘটেছে। বিচারপতি রুহুল কুদ্দুস বাবু ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানকে নিয়োগ দেওয়ার পর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিম তাদের শপথ পড়াননি। পরে তিনি অবসরে যাওয়ার পর পরবর্তী প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক ওই দুই বিচারপতিকে শপথ পাঠ করান। একইভাবে বিদায়ী প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি নিয়োগ দেওয়া হলে বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিয়া পদত্যাগ করেন।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!