প্রাণঘাতী রোগ করোনায় দৈনিক আক্রান্ত ও মৃত্যুতে উল্লম্ফন ঘটেছে। সোমবার বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭ লাখ ১ হাজার ৩৪৫ জন এবং এ রোগে মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৫৩১ জনের।
২০২০ সালে মহমারি শুরু হওয়ার পর থেকে এ রোগে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হালনাগাদ তথ্য প্রকাশকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার্স জানিয়েছে এ তথ্য।
আগের দিন রোববারের তুলনায় সোমবার বিশ্বজুড়ে করোনায় সংক্রমণ-মৃত্যু বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। রোববার বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ৩ লাখ ৮১ হাজার ২১৫ জন এবং এ রোগে মৃত্যু হয়েছিল ২ হাজার ৯৮৫ জনের।
সোমবার সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে এইদিন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৮৪ হাজার ৯৬৯ জন এবং এ রোগে মারা গেছেন ৫৪১ জন।
অন্যদিকে, এইদিন করোনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু দেখেছে রাশিয়া। বিশ্বের বৃহত্তম এই দেশটিতে সোমবার করোনায় মারা গেছেন ৯৩৭ জন, আক্রান্ত হয়েছেন ২৩ হাজার ২১০ জন।
যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া ছাড়া অন্যান্য যেসব দেশে সংক্রমণ-মৃত্যুর উচ্চহার দেখা গেছে, সে দেশগুলো হলো- যুক্তরাজ্য (নতুন আক্রান্ত ৯৮ হাজার ৫১৫, মৃত্যু ১৪৩), স্পেন (নতুন আক্রান্ত ৫৩ হাজার ৬৫৪, মৃত্যু ৩০), ফ্রান্স (নতুন আক্রান্ত ৩০ হাজার ৩৮৩, মৃত্যু ২৫৬), ইতালি (নতুন আক্রান্ত ৩০ হাজার ৮১০, মৃত্যু ১৪২) তুরস্ক ( নতুন আক্রান্ত ২৬ হাজার ৯৯, মৃত্যু ১৫৭) এবং আর্জেন্টিনা (নতুন আক্রান্ত ২০ হাজার ২৬৩, মৃত্যু ৩১)।
ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২৮ কোটি ১৭ লাখ ২১ হাজার ৭৪৪ জন এবং এ রোগে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৫৪ লাখ ২২ হাজার ১৯৬ জনের।
এছাড়া, সোমবার করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪ লাখ ৪৪ হাজার ৪৩৮ জন। এতে বিশ্বে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থতার মোট সংখ্যা পৌঁছেছে ২৫ কোটি ৮ রাখ ৮২ হাজার ৫৫২ জনে।
বিশ্বে বর্তমানে সক্রিয় করোনারোগীর সংখ্যা ২কোটি ৫৪ লাখ ১৭ হাজার ৯৬ জন। এই রোগীদের মধ্যে মৃদু উপসর্গ বহন করছেন ২ কোটি ৫৩ লাখ ২৮ হাজার ৩৩৩ জন এবং গুরুতর অসুস্থ আছেন ৮৮ হাজার ৭৬৩ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটিও ঘটেছিল চীনে।
তারপর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
কিন্তু তাতেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় অবশেষে ওই বছরের ১১ মার্চ করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।