ইংলিশ অধিনায়ক জো রুট না পারলেন ব্যক্তিগত এক রেকর্ড স্পর্শ করতে, না পারলেন দলকে বাঁচাতে। তবে অস্ট্রেলিয়ার অভিষিক্ত স্কট বোল্যান্ড ঠিকই রেকর্ড গড়ে ইংল্যান্ডকে হারালেন। বোল্যান্ডের রেকর্ডগড়া ৬ উইকেটে ইংল্যান্ড হারল ইনিংস ব্যবধানে।
৩১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে তৃতীয় সকালে ব্যাট করতে নামে ইংল্যান্ড। বেন স্টোকসকে বোল্ড করে দিনের প্রথম উইকেট শিকার করেন মিচেল স্টার্ক। জনি বেয়ারস্টোকে এলবিডব্লিউ করে ইনিংসে নিজের তৃতীয় উইকেটটি পান বোল্যান্ড। তখনও ভাবা যায়নি কতটা ভয়ংকর হয়ে উঠছেন এই পেসার। নিজের ওভারেই জো রুটকেও শিকার করেন তিনি।
দ্বিতীয় ইনিংসে নিজের চতুর্থ ওভারে মার্ক উড ও ওলি রবিনসনকে শিকার করে রেকর্ড গড়েন বোল্যান্ড। তার বোলিং তোপে ৬৫ রানে ৯ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। জেমস অ্যান্ডারসনকে শিকার করে ইংল্যান্ডের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন ক্যামেরন গ্রীন। ইংল্যান্ড অলআউট হয় মাত্র ৬৮ রানে। অস্ট্রেলিয়া পায় ইনিংস ও ১৪ রানের ব্যবধানে জয়।
এই বিশাল জয়ে অ্যাশেজের ট্রফি জয়ও নিশ্চিত করল অস্ট্রেলিয়া। জয়ের নায়ক বোল্যান্ড মাত্র ৪ ওভারে ৭ রান খরচ করে শিকার করেছেন ৬টি উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ইনিংসে ৬ উইকেট শিকার করা বোলারদের মধ্যে এটিই সেরা বোলিং ফিগার। এমনকি বিশ্ব ক্রিকেটে ৬ উইকেট শিকারের তালিকায় এটি দ্বিতীয় সেরা বোলিং ফিগার। বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩ রানে ৬ উইকেট নিয়ে শীর্ষে আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের জার্মেইন লওসন।
প্রসঙ্গত, টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড করেছিল ১৮৫ রান। জবাবে অস্ট্রেলিয়া করেছিল ২৬৭ রান। ইংলিশ অধিনায়ক রুট প্রথম ইনিংসে ৫০ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ২৮ রানে আউট হয়েছেন। এক বছরে টেস্টে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হতে না পারলেও দ্বিতীয় স্থানে বসে বছর শেষ করলেন তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ইংল্যান্ড ১৮৫/১০ (৬৫.১ ওভার)
রুট ৫০, বেয়ারস্টো ৩৫, স্টোকস ২৫;
লায়ন ৩/৩৬, কামিন্স ৩/৫৪।
অস্ট্রেলিয়া ২৬৭/১০ (৮৭.৫ ওভার)
হ্যারিস ৭৬, ওয়ার্নার ৩৮, স্মিথ ১৬, লাবুশেন ১;
অ্যান্ডারসন ৪/৩৩, রবিনসন ২/৬৪, উড ২/৭১।
ইংল্যান্ড ৬৮/১০ (২৭.৪ ওভার)
রুট ২৮, স্টোকস ১১;
বোল্যান্ড ৬/৭, স্টার্ক ৩/২৯।
ইংল্যান্ড ইনিংস ও ১৪ রানে হেরেছে।