চলমান সরকার বিরোধী আন্দোলনে আলোচিত দু’টো ক্ষুদ্র পরিসরের রাজনৈতিক দল খুলনা বিএনপি পদত্যাগী নেতা-কর্মীদের দিকে নজর রাখছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভিপি নুরের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ গণ অধিকার পরিষদ ও মাহমুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বাধীন নাগরিক ঐক্য খুলনায় আরও বিকাশ লাভের চেষ্টা চালাচ্ছেন। বিএনপি থেকে পদত্যাগ এবং বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী শিবিরের অস্থিরতাকে কাজে লাগাতে চাচ্ছেন তারা। এর মধ্যে নাগরিক ঐক্য জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের শরীকদল।
গত ৯ ডিসেম্বর খুলনা জেলা ও নগর বিএনপির মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ভেঙ্গে দেওয়ার পর থেকে নেতা কর্মীরা দুই শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়ে। ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী দিবস ও ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের শোভাযাত্রায় দু’গ্রুপই সর্বোচ্চ জনবল বাড়ায় । বিশেষ করে ১৩ ডিসেম্বরে স্থানীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে সদ্য অব্যাহতি পাওয়া কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু নয়া কমিটি পুন:বিবেচনার দাবি তোলেন। সংবাদ সম্মেলনে তার সাথে ৫ থানা শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন। নয়া কমিটি আনুগত্য না মানায় দলীয় কার্যালয়ে শনিবারের প্রথম সাংগঠনিক সভায় নগরের ৫ থানা কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। ঐ দিন কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী এক বিজ্ঞপ্তিতে খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকে নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। সেই থেকে স্থানীয় নেতাকর্মীদের পদত্যাগের হিড়িক পড়েছে।
গত তিন বছরে ভিপি নুর ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও রাজপথে স্বোচ্চার হওয়ার কারণে তার জনপ্রিয়তা বেশ বেড়েছে বলে সংগঠনটির দাবি। তার অনুসারিরা এখানে গ্রাউন্ড ওয়ার্ক করছে। বিএনপির দ্বিধা বিভক্তির পর ভিপি নুর খুলনা বিএনপির দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখছেন।
এ সুযোগটি কাজে লাগাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন ডাকসুর আরেক সাবেক ভিপি ও নাগরিক ঐক্যর আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি ও তার অনুসারীরা বিএনপির ক্ষুব্ধ কর্মীদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। নাগরিক ঐক্যের পক্ষ থেকে আগামী ৭ জানুয়ারি ‘কল্যাণ রাষ্ট্র ও নাগরিক ভাবনা’ শীর্যক আলোচনা সভায় বিএনপির পদত্যাগী নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, নাগরিক ঐক্যের প্রধান টেলিফোনে খুলনা বিএনপিতে কোনঠাসা হয়ে পড়া নেতাদের সাথে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেছেন । তবে ইতিবাচক ফল এখনও আসেনি।