ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামের চলন্ত লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে মারজিয়া আক্তার নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এতে এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০। দগ্ধ হয়েছে কমপক্ষে শতাধিক মানুষ। শুক্রবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
হাসপাতালের সেবা তত্ত্বাবধায়ক সেলিনা আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কিছুক্ষণ আগে জানতে পেরেছি হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা লঞ্চ দুর্ঘটনায় দগ্ধ মারজিয়া আক্তার নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরের ৭০ ভাগ পোড়া ছিল। মারজিয়াকে খুব সকালে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার শহিদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় মৃতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের সঙ্গে কাজ করছে পিরোজপুর, বরিশাল, বরগুনা ও ঝালকাঠির কোস্টগার্ড সদস্যরা।
এদিকে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
বিআইডব্লিউটিএ-র সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, লঞ্চে আগুন লাগার ঘটনায় বিআইডব্লিউটিএ-র বন্দর ও পরিবহন বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. সাইফুল ইসলামকে ছয় সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অপরদিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে নদী তীরে স্বজনরা ভিড় করছেন। এই ভিড় বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দীর্ঘ হচ্ছে। বাড়ছে নদীর তীরে স্বজনদের আহাজারি। এদের মধ্যে বেশিরভাগই জানেন না তাদের প্রিয়জনের ভাগ্যে কী ঘটেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত ৩টার দিকে লঞ্চটিতে আগুন লাগে বলে জানা গেছে।
খুলনা গেজেট/এনএম