মালদ্বীপের সঙ্গে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, দ্বৈত কর, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ে তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) ও একটি চুক্তিতে সই করেছে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাষ্ট্রীয় সফরের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার মালদ্বীপ প্রেসিডেন্টের দপ্তরে এগুলো সই হয়।
বার্তা সংস্থা বাসসের প্রতিবেদনে জানানো হয়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহামেদ সালেহর মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর তাদের উপস্থিতিতে এমওইউ ও চুক্তি সই হয়। প্রেসিডেন্ট সলিহর দপ্তরে মালদ্বীপ ও বাংলাদেশ দ্বৈত কর পরিহার ও করফাঁকি রোধে চুক্তি করে। এ ছাড়া দুই দেশ স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসাবিজ্ঞান বিষয়ে দুটি এবং যুব ও ক্রীড়া উন্নয়নে সহযোগিতাবিষয়ক একটি এমওইউতে সই করে। একই অনুষ্ঠানে বন্ধুত্বের স্মারক হিসেবে মালদ্বীপকে উপহার দেয়া ১৩টি সামরিক যানের নথি হস্তান্তর করে বাংলাদেশ।
ছয় দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা জানায় মালদ্বীপ। রাজধানী মালেতে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের জেটিতে বাংলাদেশের সরকারপ্রধানকে স্বাগত জানান দ্বীপদেশটির রাষ্ট্রপ্রধান ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ। ওই সময় প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে পারফরম্যান্স করে মালদ্বীপের স্কুলশিক্ষার্থীরা।
মালদ্বীপ প্রেসিডেন্ট দপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মানে ২১টি গান স্যালুট দেয় মালদ্বীপের জাতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী (এমএনডিএফ)। দেশটির সামরিক ব্যান্ড দল দুই দেশের জাতীয় সংগীত বাজায়। গার্ড অব অনারের সময় মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফয়সাল নাসিমসহ সফরকারী দেশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অভ্যর্থনার আনুষ্ঠানিকতা শেষে শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে নেয়া হয় প্রেসিডেন্টের দপ্তরে। সেখানে দর্শনার্থীদের জন্য রাখা বইয়ে স্বাক্ষর করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে সলিহর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে অংশ নেন শেখ হাসিনা। দুজনের বৈঠক শেষে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেয় দুই দেশের সরকার, রাষ্ট্রপ্রধানসহ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
এর আগে বুধবার দুপুরে মালদ্বীপের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী। স্থানীয় সময় বেলা ৩টার দিকে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিশেষ ফ্লাইটটি মালের ভেলানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান মালদ্বীপের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আহমেদ খলিল।
খুলনা গেজেট/এনএম