সম্মুখসারির ব্যক্তিদের (ফ্রন্টলাইনার) দিয়ে শুরু হলো দেশে কোভিড টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়ার কার্যক্রম। একই সঙ্গে প্রথম দিনে বুস্টার ডোজ নিয়েছেন পাঁচ মন্ত্রী। রোববার দুপুরে মহাখালীর বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএসএ) প্রতিষ্ঠানে টিকার বুস্টার ডোজ প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়।
বুস্টার ডোজ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে প্রথম বুস্টার ডোজ গ্রহণ করেন সেবিকা রুনু ভেরোনিকা কস্তা, যিনি দেশের প্রথম টিকা গ্রহণকারী ব্যক্তি। এরপর ক্রমান্বয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি অধ্যাপক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বুস্টার ডোজ গ্রহণ করেন।
আজ সবাইকে ফাইজারের টিকা দেওয়া হচ্ছে। প্রথম দিকে বয়স্ক ও ফ্রন্টলাইনাররা এ ডোজের টিকা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পাবেন।
পর্যায়ক্রমে টিকা গ্রহীতার সংখ্যা বাড়বে এবং সাধারণ মানুষও এই কার্যক্রমের আওতায় আসবে বলে জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। টিকার বুস্টার ডোজ প্রদান কার্যক্রম অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘যারা এরই মধ্যে করোনার দ্বিতীয় ডোজ টিকা দিয়েছেন এবং সে টিকা দেওয়ার পর ৯ মাসের বেশি পার হয়েছে, তাদেরকেই বুস্টার ডোজের আওতায় আনা হবে। পর্যায়ক্রমে সারা দেশেই এ কর্মসূচি চালু হবে।’
উদ্বোধনী দিন হিসেবে আজ ২০ থেকে ২৫ জনকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে। এঁদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি ও ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার চিকিৎসক, নার্স, টেকনিশিয়ান, গণমাধ্যমকর্মীরা রয়েছেন বলে তিনি জানান।
জাহিদ মালেক আরও বলেন, ‘বুস্টার ডোজ দেওয়ার যাবতীয় কার্যক্রম পাশাপাশি সুরক্ষা অ্যাপ আপডেটের কার্যক্রমও চলমান রয়েছে। বুস্টার ডোজ কাদের দেওয়া হবে, সে তালিকাও তৈরি করা হচ্ছে। আর এ মুহূর্তে সরকারের কাছে ফাইজারের সাত কোটির বেশি টিকা রয়েছে। আগামী মাসে আরও দুই কোটি টিকা আসবে। এ কারণে টিকার কোনো সংকট হবে না।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট বিশ্বের প্রায় ৮৭টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। আমাদের দেশে করোনার এ নতুন ভ্যারিয়্যান্ট ওমিক্রন মোকাবিলায় যা যা করণীয়, সেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যারা বিদেশ থেকে বিমানে আসবেন—বিশেষ করে প্রবাসীরা, তাঁদের ৪৮ ঘণ্টা আগে করোনা পরীক্ষা করে নেগেটিভ সনদসহ আসতে হবে। আর কেউ সীমান্ত দিয়ে এলে, তাদের সবার অ্যান্টিজেন পরীক্ষার ব্যবস্থাও রয়েছে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যত টিকা লাগবে, তা সরকারিভাবে ক্রয় করা হবে। দেশের ৭০ শতাংশ মানে ১২ কোটি মানুষকে ২৪ কোটি টিকা দেওয়া হবে।’
খুলনা গেজেট/এনএম