ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে বাদল সরকার (২৩) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ একই উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীও চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন হয়েছেন। শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে উপজেলার নাটঘর ইউনিয়নের নাটঘর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বাদল ওই ইউনিয়নের নান্দুরা গ্রামের সন্তোষ সরকারের ছেলে। আর চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম এরশাদ (৩৫)। তিনি নাটঘর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের ছেলে ও আসন্ন ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী।
নাটঘর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জানান, ইউনিয়নের কুড়িঘর গ্রামের বাজার এলাকায় ওয়াজ মাহফিলে চলছিল। সেই মাহফিলে এরশাদ ও বাদলসহ কয়েকজন মোটরসাইকেলে যান। সেখান থেকে তারা ফেরার পথে মোটরসাইকেলে চালাচ্ছিল বাদল এবং তার পেছনে বসা ছিল এরশাদ। পথে দুর্বৃত্তরা গুলি ছুড়লে, সামনে চালকের আসনে বসা বাদল প্রথমে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় এরশাদকে লক্ষ্য করে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ বাদল নিহত হন। আর গুরুতর আহত এরশাদকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠান চিকিৎসক। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এ ব্যাপারে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আলী হায়দার আল রাজি ওসমানী জানান, আহত ব্যক্তির ডান কাঁধে ঘাড়ের ওপরে এবং বাম কানের নিচে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ধরার চেষ্টা চলছে।
খুলনা গেজেট/ টি আই