দেশে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়তে থাকায় গত ১৭ মার্চ মঙ্গলবার থেকে স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসাসহ সব ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ইতোমধ্যে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রনে আসায় সরকারি বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হলেও শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বন্ধ রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় টিউশনি, অনলাইন ক্লাসের জন্য ইন্টারনেট সমস্যা থেকে মুক্তি এবং পড়াশোনার জন্য খুলনায় ফিরতে শুরু করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থীরা ।
খুবি’র অনেক শিক্ষার্থী টিউশনি করে নিজের পড়ালেখার খরচ চালানোর পাশাপাশি পরিবারকেও আর্থিকভাবে সহায়তা করেন। তবে করোনার এই সংকটকালে টিউশনি হারিয়ে অনেকেই পড়েছেন বিপাকে, তাই ফিরতে শুরু করেছেন খুলনায়।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শাওন শেখ শুভ‘র বাড়ি পিরোজপুর জেলায়। তিনি খুলনা গেজেটকে জানান, “আমাদের গ্রামে ইন্টারনেট সংযোগ দুর্বল হওয়ার কারণে অনলাইনে ক্লাস করতে খুবই অসুবিধা হচ্ছিলো। এদিকে সেপ্টেম¦র মাসে দ্বিতীয় টার্মের ক্লাস শুরু হবে তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই খুলনাই চলে এসেছি।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খুবি‘র ডেভলপমেন্ট স্টাডিজ ডিসিপ্লিনের এক শিক্ষার্থী বলেন, “করোনার সময় দীর্ঘ দিন বাড়িতে থাকার কারণে আমার আগের টিউশনিগুলো চলে গেছে। টিউশনির খোঁজে এবং অনলাইনে ক্লাস করার জন্যই আবার খুলনায় এসেছি। এখন পর্যন্ত কোনো কূল কিনারা না পেয়ে অন্য কাজ করছি।”
এছাড়া শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, লকডাউন পরিস্থিতি শিথিল হওয়ার কারণে অনেকেই ঘরবন্দী জীবনের একঘেয়েমি কাটাতে খুলনায় ফিরে এসেছেন ।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর মোঃ শরীফ হাসান লিমন বলেন, “গ্রাম এবং মফস্বলের তুলনায় শহরে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হার বেশি। এমতাবস্থায় শিক্ষার্থীদের খুলনায় আসতে আমি নিরুৎসাহিত করবো। তারপরও যেহেতু তারা আসছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশেই অবস্থান করছে তাই শিক্ষার্থীদের প্রতি অনুরোধ থাকবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে যেনো কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা সৃষ্টি না হয় এ ব্যাপারে তারা যেনো সজাগ দৃষ্টি রাখে।”
খুলনা গেজেট/এআইএন