খুলনা ২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে থাকলে আজ বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫০ বছরে যে অবস্থানে, মাত্র ১০ বছরের আমরা সেখানে পৌঁছাতে পারতাম। বঙ্গন্ধুকে হত্যার পরে পাকিস্তানের দালালরা ও স্বাধীনতার বিপক্ষের শত্রুরা এদেশকে এগিয়ে যেতে দেয়নি। তারা দেশবিরোধী চক্র ও ধর্ম ব্যবসায়ীদের প্রশ্রয় দিয়েছে। যারা দেশের উন্নতিকে বাধাগ্রস্থ করেছে। তারপরও বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যার সঠিক নেতৃত্ব ও বিচক্ষণতায় বাংলাদেশকে পৃথিবীর বুকে একটি উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে। এখন আমাদের দেশ পৃথিবীর উন্নয়নের রোল মডেল।
বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় নগরীর শহীদ হাদিস পার্ক সংলগ্ন সড়কে সদর থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে গণসমাবেশে সম্মানিত অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশ ও দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নে ঘটে। তারই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়নের বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। তিনি খুলনাকে তিলোত্তমা নগরী হিসেবে গড়তে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন। খুলনার জলাবদ্ধতা নিরসনে ভৈরব-রূপসা নদী খননের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ময়লাপোতা থেকে জিরোপয়েন্ট পর্যন্ত ৬লেনে উন্নতিকরণের কাজ চলছে। খুলনায় ক্যান্সার হাসপাতাল, শিশু হাসপাতাল, মানসিক রোগীদের জন্য হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়ণে আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশে পদ্মা সেতু, কর্নফুলি ট্যানেলের মতো মেগা প্রকল্পের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নত দেশ হিসেবে আবির্ভাব হবে। তাই দেশের উন্নয়নকে অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে হবে। আওয়ামী লীগের বিজয়ে আপনাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ হারুনুর রশীদ ও খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা।
গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন খুলনা সদর থানা আওয়ামী লীগ ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম।
সদর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর ফকির মো. সাইফুল ইসলামের পরিচালনায় সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর কবীর, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক শেখ ফারুক হাসান হিটলু, মহানগর কৃষক লীগের আহ্বায়ক এ্যাড. একেএম শাহজাহান কচি, জাতীয় শ্রমিক লীগ খুলনা মহানগর সাধারণ সম্পদক রনজিত কুমার ঘোষ, জেলা আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. তারিক মাহমুদ তারা, মহানগর যুব লীগের আহ্বায়ক মো. সফিকুর রহমান পলাশ, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল, সদর থানা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরানী রহমান বিউটি।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা কাজী এনায়েত হোসেন, মল্লিক আবিদ হোসেন কবীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায়, এ্যাড. সরদার রজব আলী, এ্যাড. আইয়ুব আলী শেখ, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মিন্টু, আবুল কালাম আজাদ কামাল, প্যানেল মেয়র আলী আকবর টিপু, মো. শাহজাদা, কাউন্সিলর জেড এ মাহমুদ ডন, কাউন্সিলর শামছুজ্জামান মিয়া স্বপন, এ্যাড. সুলতানা রহমান শিল্পী, অধ্যা. এ বি এম আদেল মুকুল, এম এ নাসিম, শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন, আব্দুল হাই পলাশ, ফেরদৌস হোসেন লাবু, বাবুল সরদার বাদল, সহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।