বিএনপি’র কেন্দ্রিয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু সদ্য ঘোষিত খুলনা জেলা ও নগর বিএনপি প্যারাসুট দিয়ে চাপিয়ে দেওয়া আখ্যায়িত করে তার পুনঃবিবেচনা করার জন্য দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, বিতর্কিত ও সুবিধাবাদি নেতৃত্ব রাজনীতি সংস্কৃতির বিরোধী। যারা নয়া নেতৃত্ব সম্পর্কে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন খুলনার বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের দর্শনে বিশ্বাসীরা প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রবিবার বেলা ১২টায় প্রেসক্লাবের নতুন হলে বিএনপি খুলনার ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহবান জানান। বৃহস্পতিবার নয়া কমিটি ঘোষণা হওয়ার পর এই প্রথম তিনি প্রকাশ্যে মুখ খুললেন। সংবাদ সম্মেলনে নতুন হলের কানায় কানায় পূর্ণ ছিল থানা, ওয়ার্ড কমিটির নেতৃবৃন্দ ও অংগ সংগঠনের সমর্থকরা। তারা বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে অনুপ্রাণিত করেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মঞ্জু বলেন, কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচী দেখে তিনি স্তম্ভিত হয়ে পড়েছেন। তিনি এতে ব্যথিত। এই প্রক্রিয়ায় কমিটি আশা করেননি। কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাবেক সহ-সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান চঞ্চলের খুনি, মাদক ব্যবসায়ী, ছিনতাইকারীরা। গত ৪ বছরে অংগ সংগঠনের প্রক্রিয়া শুরু হলেও তা ছিল অসম্পূর্ণ। ত্যাগী কর্মীদের বাদ দিয়ে ছিনতাইকারীরা ছাত্রদলের আহবায়ক হয়েছেন।
তিনি বলেছেন, এ কমিটিতে বিএনপির সমর্থকদের অসন্মান ও অমর্যাদা করা হয়েছে। ১৬ বছরের জেলা পর্যায়ে বিএনপির শক্তিশালী ভীত গড়তে পারেননি তারা নগরের নেতৃত্বে এসছেন। এ নেতৃত্বকে তিনি অযোগ্য বলে আখ্যায়িত করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র মোঃ মনিরুজ্জামান মনি, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, নগর কমিটির সাবেক উপদেষ্টা জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, সদর থানা বিএনপির সভাপতি আব্দুল জলিল খান কালাম, সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান অপু, দৌলতপুর থানা শাখা কমিটির সভাপতি শেখ মোশাররফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম নান্নু, খানজাহান আলী থানা শাখার সভাপতি মীর কায়সেদ আলী, জেলা জাতীয়তাবাদি আইনজীবী সমিতির প্রতিনিধি এড এম বজলুর রহমান, এস আর ফারুক ও গোলাম মাওলা প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা গেজেট/এনএম