রাজশাহীতে ধুমধাম করে বট ও পাকুড় গাছের বিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজশাহীর খড়খড়ির শ্রী শ্রী গোপালদেব ঠাকুর মন্দির প্রাঙ্গণে থাকা গাছ দুটির শনিবার বিয়ে সম্পন্ন করেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। ১৭ বছর আগে পাশাপাশি লাগানো হয়েছিল গাছ দুটি।
হিন্দু শাস্ত্রমতে, পাশাপাশি বট-পাকুড় গাছ থাকলে তাদের বিয়ে দিতে হয়। এই রীতি মেনেই শনিবার ধুমধাম করে বিয়ে দেওয়া হয় গাছ দুটির। বটকে বর, পাকুড়কে কনে ধরে বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের আগে বটের নাম রাখা হয় ‘বিজয়’ আর পাকুড় হয় ‘বনলতা’।
বিয়ের জন্য বট-পাকুড়সহ গোটা মন্দির প্রাঙ্গণকেই সাজানো হয়। বিয়েতে নিমন্ত্রণ পেয়েছিলেন এক হাজারেরও বেশি মানুষ। দুপুরে সবাই খেয়েছেন। সারাদিন বাদ্য-বাজনার তালে নাচে-গানে মেতে উঠেছিলেন সবাই। নানা আনুষ্ঠানিকতা শেষে পুরোহিত পুলক আচার্য বিকালে শুরু করেন বিয়ের মূল আনুষ্ঠানিকতা। গোধূলি লগ্নে সম্পন্ন হয় এ বিয়ে।
এ বিয়েতে বটের বাবা-মা হয়েছিলেন বিধান চন্দ্র সরকার ও আরতি রানী সরকার দম্পতি। বিশ্বজিৎ সরকার ও কনিকা রানী সরকার দম্পতি হন পাকুড়ের বাবা-মা।
মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব সরকার জানান, হিন্দুশাস্ত্রে আছে বট-পাকুড় একসঙ্গে থাকলে তাদের বিয়ে দিতে হয়। সেজন্যই এ আয়োজন। এ বিয়েতে প্রায় দেড় হাজার মানুষকে দাওয়াত করা হয়েছিল।