নড়াইল মুক্ত দিবসের অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নাজির এনামুল হক ও সহকারী নাজির বাবর আলীসহ তাদের অনুসারী কয়েকজন কর্মচারীর হাতে নড়াইল জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার অ্যাডভোকেট এস এ মতিন ও বীরমুক্তিযোদ্ধা জেলা পরিষদ সদস্য সাইফুর রহমান হিলু লাঞ্ছিতের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার দুপুরে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে মুক্তিযোদ্ধাদের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় মুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমান সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় শরীফ হুমায়ুন কবীর, এনামুল কবীর টুকু, তবিবুর রহমান, মোঃ নুরুজ্জামানসহ জেলা ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় মুক্তিযোদ্ধারা আগামী ২৪ ঘন্টার আলটিমেটাম দিয়ে জানান যদি এই সময়ের মধ্যে দোষি কর্মচারিদের চাকুরীচ্যুতসহ উপযুক্ত শাস্তি না দেওয়া হয় তাহলে আগামী ১৬ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানসহ জেলা প্রশাসনের সকল অনুষ্ঠান বয়কট করা হবে।
এদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের সংগঠন, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সংসদের আয়োজনে বেলা দেড়টায় রুপগঞ্জ বাজার এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সামনে নড়াইল রুপগঞ্জ প্রধান সড়কে ১৬ মিনিটের জন্য অবরোধ করেন। এসময় বক্তারা অবিলম্বে দোষী কর্মচারীদের অপসারণসহ উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানান, অন্যথায় দেশব্যাপি অবরোধসহ বৃহত্তর কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দেন।
জানা গেছে, ১০ ডিসেম্বর বেলা ১২ টার দিকে জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে জেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের আয়োজনে মুক্ত দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার অ্যাডভোকেট এসএ মতিন নাস্তার প্যাকেট আনতে যান। তখন তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ডিসি অফিসের সহকারী নাজির বাবর আলীর সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এসময় বাবরসহ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কয়েকজন কর্মচারী এসএ মতিন ও সাইফুর রহমান হিলুকে ধাক্কা দেন এবং হামলা করতে তেড়ে আসেন এবং অশালীন আচরণ করেন। এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত এসএ টিভির নড়াইল প্রতিনিধি আবদুস সাত্তার ভিডিও ধারণকালে ওই অফিসের কর্মচারীরা মোবাইলটি জোরপূর্বক কেড়ে নিয়ে যায় এবং ভিডিও ডিলিট করে ক্যামেরা ফেরত দেয়।
খুলনা গেজেট/এনএম