”দেশে যখন দুর্ভিক্ষ এলো তখনও আমার এত কষ্ট হয়নি। গত রোজার সময়ে মসজিদে এত্তেকাফে বসেছিলাম ১০ দিন, সে সময় মসজিদের একজন মুসল্লির বাড়ি থেকে খাবার দিত। প্রতিদিন মাছ , মাংস খেতে পেরেছি, এরপর থেকে মাছ মাংস কি জিনিস তা চোখে দেখিনি। বাজার করার মতো নিজের কাছে টাকা নেই। আশপাশ থেকে তুলে নিয়ে কচুশাক আর শুকনা মুড়ি খেয়ে থাকছি। অনেক কষ্টে দিন কাটছে লজ্জাশরমে কারোর কাছে হাত পাততে পারিনা।”
কান্নাজড়িত কন্ঠে এমনটাই বলছিলেন মহসেন জুট মিলের ছাঁটাই শ্রমিক কামাল হোসেন। মহসেন জুট মিলের শ্রমিক কোয়াটারে গিয়ে দেখা যায় কচু শাক রান্না করছেন কামাল। এমন সময় এ প্রতিবেদক কথা বলেন তার সাথে।
তিনি জানান, খুলনার শিরোমনি শিল্প এলাকার ব্যক্তি মালিকানাধীন মহসেন জুট মিলটি ২০১৩ সালে শ্রমিক কর্মচারীদের পিএফ গ্রাইচুটি সহ চুড়ান্ত পাওনাদি পরিশোধ না করেই বন্ধ ঘোষণা করে কতৃপক্ষ।
মিলের ম্যাকানিকাল বিভাগের কলোনিতে থেকে মহসেন জুট মিলে কাজ করতেন তিনি। মিল মালিকের কাছে তার পাওনা রয়েছে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা।
মিল বন্ধ ঘোষণার পর থেকে তিনি বেকার হয়ে পড়েন বয়সের শেষ সময়ে কাজ করার মত কোন শক্তি নেই তার। আশায় রয়েছেন কবে তিনি তার চুড়ান্ত পাওনা পাবেন। আজ, কাল করতে করতে ৮ বছর হয়ে গেলেও তিনি তার চুড়ান্ত পাওনা বুঝে পাননি।
নিজের কষ্টের টাকা মিল মালিকের নিকট থেকে পাওয়ার জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী, খুলনা জেলা প্রশাসক ও খুলনা বিভাগীয় শ্রম পরিচালক এর মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অসহায় কামাল।
খুলনা গেজেট/এএ