ফলোঅনে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করছে বাংলাদেশ। ইনিংস হার এড়াতে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় ইনিংসে করতে হবে ২১৩ রান। আর ম্যাচটা বাঁচাতে সারাদিন মাটি কামড়ে উইকেটে পড়ে থাকলেই হবে। পারবে বাংলাদেশ?
স্কোর: বাংলাদেশ ১২/১
প্রথম ইনিংস: পাকিস্তান ৩০০/৪ (ডিক্লেয়ার), বাংলাদেশ ৮৭/১০
ফলোঅন এড়াতে ২৫ রান প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের। হাতে উইকেট ছিল ৩টি। রৌদ্রোজ্জ্বল সকালে পাকিস্তানের বোলাররা বাংলাদেশের জন্য কাজটা কঠিন করে তোলে।
পাকিস্তান ৪ উইকেটে ৩০০ রানে ইনিংস ঘোষণা করে। বাংলাদেশের ফলোঅন এড়াতে দরকার ছিল ১০১ রান। চতুর্থ দিন ৭ উইকেটে ৭৬ রান তুলে দিন শেষ করে বাংলাদেশ। আজ ১১ রান যোগ করতেই শেষ ৩ উইকেট। বাংলাদেশ অলআউট ৮৭ রানে।
দেশের মাটিতে এটি বাংলাদেশের সর্বনিম্ন রান। ২০০২ সালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ৩১.৫ ওভারেই ৮৭ রানে অলআউট হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।
আজ মাত্র ২৮ মিনিট ব্যাটিং করেছে বাংলাদেশ। আগের দিন ৭০ মিনিটে চূর্ণ বিচূর্ণ বাংলাদেশের টপ ও মিডল অর্ডার। তাইজুল ইসলাম দিনের দ্বিতীয় ওভারেই সাজঘরে ফেরেন। স্পিনার সাজিদের বলে এলবিডব্লিউ হন। সাকিব রিভিউ নিয়ে সঙ্গীকে বাঁচানোর চেষ্টা চালান। কিন্তু রিভিউ বাংলাদেশের পক্ষে আসেনি। পরের ওভারে শাহীন শাহ আফ্রিদির বলে উইকেট উড়ে যায় খালেদ আহমেদের। কোনো রানই যোগ করতে পারেননি লোয়ার অর্ডার এ ব্যাটসম্যান।
সাকিব উইকেটে একা হয়ে যান। সাজিদ খানকে এক চার, একটি ডাবল ও দুইটি এক রানে দলের পুঁজি বাড়ান। কিন্তু শেষমেশ সাজিদের শিকারে পরিণত হন সাকিব। আজকের ১১ রানের ১০ রানই আসে সাকিবের ব্যাট থেকে। ৫৪ বলে ৩৩ রানে আউট হন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
অফস্পিনার সাজিদের পকেটে গেছে ৮ উইকেট। পাকিস্তানের হয়ে টেস্টে চতুর্থ সেরা বোলিং এটি। এছাড়া বাংলাদেশের বিপক্ষে যেকোনো বোলারের এটি সেরা বোলিং। স্টুয়ার্ট ম্যাকগিলও ৮ উইকেট পেয়েছিলেন। তবে রান দিয়েছিলেন ১০৮ রান।
খুলনা গেজেট/এনএম