ডুমুরিয়ার ইজিবাইক চালক হাসান মাহমুদ অভি (১৫) হত্যাকান্ডের ছয় মাসের মধ্যে মূল রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এ হত্যাকান্ডে জড়িত থাকায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একই সাথে ছিনতাইকৃত ইজিবাইকটি উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) গ্রেফতারকৃত তিন আসামীই হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হল- পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার নদমুল্লা এলাকার আবুল হোসেন খলিফার ছেলে সোহাগ হোসেন (২২), খুলনার রূপসা উপজেলার মিল্কি দেয়াড়া এলাকার মৃত করিম শেখের ছেলে হানিফ শেখ (২৬), হরিণাটানা থানাধীন হোগলাডাঙ্গার মৃত জালাল শেখের ছেলে মোঃ রায়হান (২২)। মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) গ্রেফতারকৃত এ তিন আসামীই হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে। গতকাল সোমবার (২৪ আগস্ট) বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
পিবিআই সূত্রে জানা গেছে, ডুমুরিয়া উপজেলার শরাফপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা আসলাম শেখের ছেলে হাসান মাহমুদ অভি (১৫) ইজিবাইক চালানোর উদ্দেশ্যে বের হলে আর ফিরে আসেনি। এরপর তার পরিবারের লোকেরা বিভিন্ন স্থানে খুজে না পেয়ে হরিণটানা থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করে। পরে গত ২ মার্চ সকালে দিঘলিয়া উপজেলার হাজীগ্রাম ইসরাইল ডাক্তারের বাড়ীর সামনে আত্রাই নদীর কিনারে অভির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এঘটনায় নিহত অভির পিতা মোঃ আসলাম শেখ বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামী করে দিঘলিয়া থানায় হত্যা মামলা করে। রহস্যহীন এই মামলাটি ব্যাপক তদন্তে গত সোমবার পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া থেকে সোহাগ হোসেন এবং রূপসার মিল্কি দেয়াড়া থেকে হানিফ শেখ ও হরিণটানা এলাকা থেকে মোঃ রায়হানকে গ্রেফতার করে পিবিআই। গ্রেফতারকৃত তিন আসামী মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) আসামীরা আদালতে ১৬৪ধারায় স্বীকারোক্তি দেয়। আসামীদের দেয়া তথ্যেরভিত্তিতে ঝালকাটির নলছিটি উপজেলার ডেবরা গ্রাম থেকে ছিনতাইকৃত ইজিবাইকটি উদ্ধার করা হয়।
খুলনা গেজেট/এনএম/এআইএন